হাজী মোঃ সিদ্দিকুর রহমান জেলা প্রতিনিধি বরগুনা।
বরগুনা জেলার আমতলী উপজেলার হলদিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক বলেন, আপনারা দেখবেন রাস্তায় মাটি পড়ছে কিনা?কাজ হচ্ছে কিনা সব সাংবাদিক আমার ইউনিয়নে কেন যায় অন্য ইউনিয়ন তারা দেখে না? কথাগুলো বলেছিলেন হলদিয়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান আনারস প্রতীকের আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী জনাব আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক। নৌকার প্রার্থী মোঃ শহিদ মৃধাকে হারিয়ে জিতে যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিক।
বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে ভোটে জিতে গিয়ে এলাকার নৌকা পাগল লোকদেরকে শসিয়ে বেড়াচ্ছেন এই চেয়ারম্যান। নৌকা ও বঙ্গবন্ধু সম্বলিত কাঁধে ঝুলানো মাফলার মাটিতে ফেলে পা দিয়ে অপমান করে বলেছিলেন এই ইউনিয়নে নৌকা চলবেনা, অপমান করে আক্কেল আলী নামে এক ব্যক্তিকে। ভোটে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী পন্থী কিছু ইউপি সদস্যদেরকে উন্নয়ন মূলক কাজ থেকে বিরত রাখছেন মিন্টু মল্লিক।
তার সাথে সমন্বয় না করতে পেরে কয়েকজন ইউপি সদস্য নিয়মিত ইউনিয়ন পরিষদ আসা যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। বঞ্চিত হচ্ছে সাধারণ মানুষ, সরকারের উন্নয়নমূলক কাজের অংশ হিসেবে হলুদিয়া ইউনিয়নের কাবিটা (কাজের বিনিময়ে টাকা) প্রকল্পের ৪,০০০০০/-(চার লক্ষ টাকার) কাজ করাচ্ছিল ইউ পি সদস্য (সিপিসি) জিয়াউল হক জোসেফ তালুকদার । চেয়ারম্যানের আস্থাভাজন ইউপি সদস্য জিয়াউল হক তালুকদার ক্ষমতার প্রভাব দেখিয়ে সরকারি দুশমীর খালের পূর্ব মাথা বন্ধ করে পানির যোগাযোগ আঁটকে রেখেছে, এতে শত শত কৃষকের পানির অভাবে তরমুজ, ও ডাল চাষের ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
চেয়ারম্যানের অত্যন্ত আস্থাভাজন এই জিয়াউল হক জোসেফ তালুকদার এমপির বাজার থেকে ২০০০ ফুট পশ্চিমে একটি রাস্তা মেরামতের কাজ করাচ্ছে। সরকারের প্রজ্ঞাপন অনুযায়ী কাজের বিনিময়ে টাকা কাজগুলো করার কথা ছিল এলাকার গরীব মানুষের মাধ্যমে। কিন্তু চেয়ারম্যান মিন্টু মল্লিকের নেতৃত্বে জোসেফ মল্লিক প্রভাব খাটিয়ে কাজটি করেছেন ভেকু দিয়ে। কোনরকম রাস্তার পাশ থেকে সামান্য মাটি এনে গাছ নষ্ট করে রাস্তাটি সমান করা হচ্ছে। এছাড়া বাচ্চু খানের বাড়ি থেকে জালালের বাড়ি পর্যন্ত ৫০০ ফুট মাটির কাজ করাচ্ছেন ভেকু দিয়ে। ভেকু দিয়ে কাজ করার ফলে বঞ্চিত হচ্ছে এলাকার সাধারণ মানুষ।
কোন রকম মাটি দিয়ে রাস্তার পাশ্ব দিয়ে ফসলি জমি নষ্ট করে চলছে প্রকল্পের কাজ। চেয়ারম্যান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে চেয়ারম্যান বলেন আমি মাটির কাজ করতেছি মাটি পড়ছে কিনা সেটা দেখেন, শ্রমিক পাওয়া যায়না। স্থানীয় দরিদ্র মানুষের সাথে আলোচনা করে জানা গেছে যদি মাটির কাছটি শ্রমিকের মাধ্যমে করানো হতো তাহলে তারা আর্থিকভাবে উপকৃত হতো। ভেকু দিয়ে কাটার কারণে রাস্তার পাশের শত শত গাছ কর্তন করা হয়েছে ভেকু চলাচলের সুবিধার্থে । গাছ কেটে প্রকল্পের কাজ করানোর সকল যোগাযোগ করছেন উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা পিআইও মফিজুর রহমান এর সাথে। এ ব্যাপারে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোঃ মফিজুর রহমান বলেন কোনভাবেই ভেকু দিয়ে কাজ করা যাবে না।
৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মোঃ হারুন-অর-রশিদ চেয়ারম্যানের সাথে যোগাযোগ করে সমানতালে গাছ কেটে খাল থেকে ভেকু দিয়ে মাটি দিয়ে রাস্তা মেরামতের কাজ সম্পন্ন করছে, এ ব্যাপারে ইউপি সদস্য হারুন সাহেব বলেন আমার এই কাজ সম্পর্কে সবকিছুই ইউনিয়ন চেয়ারম্যান অবগত আছেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন ভেকু দিয়ে কাজ করার কোন নিয়ম নেই এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু মল্লিকের আস্থাভাজন ইউপি সদস্য জিয়াউল হক তালুকদার ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে দুশমীর খালের পূর্ব মাথায় বাঁধ দিয়ে পানি চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে, এতে শতশত কৃষক এর ফসলি জমি নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।
এর বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে বিভিন্ন মামলা দিয়ে ঘায়েল করা হচ্ছে। রাশেদুল ইসলাম নামক একজনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করিয়েছে, মামলাগুলো রায় হয়েছেন রাশেদুলের পক্ষে। রাশেদুল বলেন আমি কোন অন্যায় করিনি তারপরও বারবার আমাকে মামলা জড়িয়ে বেড়াচ্ছেন এই চেয়ারম্যান মিন্টু মল্লিক আমার মত নৌকার কর্মীদের ইউনিয়নে হেনস্তা হতে হয় সব সময়।