#চলতি মাসে সৌদি আরব সফরের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। এক সময় সৌদি আরবকে অপছন্দের একটি রাষ্ট্র হিসেবে অভিহিত করেছিলেন তিনি। সেই বাইডেনই হঠাৎ সৌদি সফর করতে যাচ্ছেন।
বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটন ডিসির পক্ষ থেকে একথা জানানো হয়। খবর এএফপি’র।
সৌদি আরব বাইডেনের দুই অগ্রাধিকার তেল উৎপাদন বৃদ্ধির এবং যুদ্ধ-বিধ্বস্ত ইয়েমেনে শান্তি চুক্তির মেয়াদ বাড়াতে সহায়তা করার বিষয়ে সম্মত হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর এমন সিদ্ধান্ত নিলেনন বাইডেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এমন সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে নিউইয়র্ক টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট ও সিএনএন জানায়, বাইডেন এ অঞ্চল সফরকালে সৌদি আরব যাত্রা বিরতি করবেন। অনেক দিন ধরেই তার সৌদি আরব সফরে যাওয়ার গুজব শোনা যাচ্ছে।
সিএনএন জানায়, বাইডেন সৌদি আরবের কার্যত: নেতা ৩৬ বছর বয়সী যুবরাজ মোহাম্মাদ বিন সালমানের সাথে বৈঠক করবেন। ২০১৮ সালে দেশটির ভিন্নমতাবলম্বী সাংবাদিক জামাল খাসোগিকে হত্যার নির্দেশ দেওয়ার জন্য মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা তাকে অভিযুক্ত করে। এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র আমেরিকার সম্পর্ক তিক্ততার পর্যায়ে চলে যায়।
২০১৮ সালে সাংবাদিক জামাল খাশোগি হত্যাকাণ্ডের পর সৌদি যুবরাজকে খুনি বলে অভিহিত করেছিলেন জো বাইডেন। ২০১৯ সালে নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে সৌদি রাজপরিবারকে একঘরে করার কথাও বলেছিলেন তিনি। কাজেই সৌদি যুবরাজের সঙ্গে যে কোনো সাক্ষাতকে মার্কিন প্রেসিডেন্টের এতদিনকার রাজনৈতিক অবস্থান থেকে এক ধরনের পিছু হটা বলে অভিহিত করেছেন বিশেষজ্ঞরা।
এর আগে আন্তর্জাতিক বাজারে তেলের দামে ধস ঠেকাতে রাশিয়া ও সৌদি আরব উৎপাদন-সীমা বজায় রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। মস্কোর সঙ্গে ওই সমঝোতার কারণে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় দেশগুলোর অনুরোধ সত্ত্বেও সৌদি সরকার তেল উত্তোলন বৃদ্ধি করেনি।
কংগ্রেস নির্বাচন সামনে রেখে জ্বালানি মূল্য সহনীয় করতে সৌদি থেকে সরবরাহ বৃদ্ধি এবং মস্কো ও বেইজিংয়ের কূটনৈতিক বলয়ে রিয়াদের ঝুঁকে পড়া ঠেকাতে এ সফর বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হোয়াইট হাউস প্রেস সেক্রেটারি কারিন জিয়ান-পিরি সফরের ঘোষণা না দিয়ে তিনি কেবলমাত্র বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর নেতাদের সাথে সাক্ষাতের সুযোগের অপেক্ষায় রয়েছেন।’