দেশে কার্প জাতীয় মাছের প্রধান প্রাকৃতিক প্রজনন কেন্দ্র ও বঙ্গবন্ধু মৎস্য হেরিটেজ- চট্টগ্রামের হালদা নদীতে তৃতীয়বারের মতো ডিম ছাড়লো মা মাছ।
আজ শুক্রবার সকাল থেকে প্রায় ২ শতাধিক নৌকা নিয়ে জেলেরা ডিম সংগ্রহ করতে নেমেছে। এরআগে বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাত থেকে ডিম ছেড়েছে মা মাছ। ভোররাতে হালদা নদীর কয়েকটি স্থানে কার্প জাতীয় রুই, কাতলা, মৃগেল, কালবাউশ মাছের কিছু ডিম সংগ্রহ করেছেন জেলেরা।
হালদা রিসার্চ ল্যাবরেটরির সমন্বয়ক ও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণীবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. মনজুরুল কিবরিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, হালদা নদীতে এই বছর তৃতীয়বারের মতো মা মাছ ডিম ছেড়েছে। দুই শতাধিক নৌকা দিয়ে জেলেরা বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার পর থেকে ডিম সংগ্রহ করছেন। শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত ডিম সংগ্রহের কাজ চলছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, এই বছরে তৃতীয়বারের মতো ডিম ছাড়লেও তা পর্যাপ্ত নয়, অল্প পরিমাণে ডিম ছেড়েছে। ভোররাত থেকে যারা ডিম সংগ্রহ করছেন তারা মোটামুটি ভালো পরিমাণে ডিম সংগ্রহ করতে পেরেছেন। তবে সে সময় নৌকার সংখ্যা কম ছিল। সকাল থেকে ২ শতাধিক নৌকা নিয়ে জেলেরা ডিম সংগ্রহ করতে নেমেছে, তবে সকালে ডিমের পরিমাণ কম ছিল।
ডিম সংগ্রহকারী, উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতি বছর চৈত্র থেকে আষাঢ় মাসের মধ্যে অমাবস্যা ও পূর্ণিমা তিথিতে কার্প জাতীয় মা মাছ হালদা নদীতে ডিম ছাড়ে। এবার ডিমের পরিমাণ কম হবার কারণ হিসেবে বছরজুড়ে দখল, দূষণ আর অপরিকল্পিত উন্নয়ন হালদার পরিবেশ বিপর্যস্ত করেছে বলে সংশ্লিষ্টদের অভিমত।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের হালদা রিসার্চ অ্যান্ড ল্যাবরেটরির তথ্যানুসারে, হালদায় গতবার মাছের নিষিক্ত ডিম সংগ্রহের পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৫০০ কেজি। রেণু পোনা হয়েছিল ১০৫ কেজি। এর আগে ২০২০ সালে নদীতে ডিম সংগ্রহের পরিমাণ ছিল সাড়ে ২৫ হাজার কেজি, যা এর আগের ১২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই বছর এর আগের দুইবারে হালদা নদীতে প্রায় ৩ হাজার কেজি ডিম সংগ্রহ করেছিলেন জেলেরা। বাসস