রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ৪০টি স্বর্ণবারসহ বেসরকারি এয়ারলাইন্স কোম্পানি নভোএয়ারের গাড়িচালকসহ দুজনকে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) ও জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা (এনএসআই)।
শনিবার তাদের আটক করা হয়।
আটক দুজন হলেন- নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলাল (৫১) ও রিসিভার কামাল হোসেন (২৯)। হেলালের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বসুরহাট থানার চরকাগা গ্রামে। কামাল হোসেনের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুরের হাইমচর থানার দক্ষিণ বগুলা গ্রামে।
শনিবার বিকেলে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।
তিনি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্বর্ণ চোরাচালান প্রতিরোধে বিমানবন্দর এপিবিএনের গোয়েন্দা সদস্যরা কাজ করছেন। সেই ধারাবাহিকতায় নভোএয়ারের গাড়িচালক মো.হেলালকে নজরদারিতে রেখেছিল বিমানবন্দর এপিবিএন ও এনএসআই। নভোএয়ারের গাড়িচালক মো. হেলাল অন্যান্য দিনের মতো আজকেও ডিউটিতে আসেন। এরপর শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের আগমনী গেইট দিয়ে বের হন।
জিয়াউল হক বলেন, এরপর এপিবিএন ও এনএসআই সদস্যরা নভোএয়ারের গাড়িচালককে নজরদারিতে রাখেন। এ সময় নভোএয়ারের গাড়িচালক হেলালকে ডমেস্টিক টার্মিনালের ড্রাইভওয়ে থেকে একজন সহযোগীসহ সিএনজিচালিত অটোরিকশায় উঠতে দেখা যায়। পরে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বঙ্গবন্ধু ম্যুরালের সামনে এপিবিএনের গোয়েন্দা সদস্যরা অটোরিকশার গতিরোধ করেন এবং তাদেরকে এপিবিএন অফিসে নিয়ে আসেন।
তিনি বলেন, এরপর জিজ্ঞাসাবাদের পর রিসিভার কামাল হোসেনের সঙ্গে থাকা ব্যাগের ভেতর থেকে কালো স্কচটেপে মোড়ানো ৪০টি স্বর্ণবার পাওয়া যায়। যার ওজন প্রায় ৪ কেজি ৬৪০ গ্রাম। এ স্বর্ণের বাজার মূল্য প্রায় ৫ কোটি টাকা।
বিমানবন্দর এপিবিএনের এ কর্মকর্তা আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে কামাল হোসেন জানিয়েছেন নভোএয়ারের গাড়িচালক হেলাল তাকে এই স্বর্ণ দেন। এই স্বর্ণ নির্দিষ্ট গন্তব্যে পৌঁছে দিতে পারলে তার ১০ হাজার টাকা পাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু তার আগেই তিনি আটক হন। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় আইনি ব্যবস্থা নেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।