প্রবল বাতাস এবং ব্যাপক তুষারঝড়ে বিদ্যুত্ লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় যুক্তরাষ্ট্রের অনেক স্থানে মানুষ অন্ধকারে সময় কাটাচ্ছে। ঘরে সাজিয়ে রাখা বড়দিনের ‘ক্রিসমাস ট্রি’তে জ্বলছে না আলো। সড়কের পরিস্থিতিও ভালো না। আটকে পড়া অনেকে কাপড় পুড়িয়ে শীত তাড়ানোর চেষ্টা করেছে বলেও খবর পাওয়া গেছে।
আবহাওয়া অফিস বলছে, প্রতিকূল পরিস্থিতি শিগগিরই কাটবে না। তুষারপাত যদি বন্ধও হয়ে যায়, তা-ও প্রবল বাতাস থাকবে। পূর্বাভাস বলছে, ঘণ্টায় ৬০ মাইল বা তার চেয়েও দ্রুতগতিতে বইতে পারে বাতাস। এতে করে আরো ক্ষয়ক্ষতি এবং বিদ্যুিবভ্রাট দেখা দেবে।
নিউ ইয়র্কের হোমল্যান্ড সিকিউরিটি অ্যান্ড ইমারজেন্সি সার্ভিসেসের কমিশনার জ্যাকি ব্রে শীতের জন্য প্রস্তুত থাকার পরামর্শ দেন। তিনি বলেন, ‘কোনো কারণে বিদ্যুত্ সরবরাহ বন্ধ হলে তীব্র শীতের মুখোমুখি হতে হবে। এই প্রতিকূল আবহাওয়ার শীত উষ্ণতার কোনো ব্যবস্থা ছাড়া পার করতে পারবেন বলে দয়া করে ভাববেন না। তা হয়তো সম্ভব হবে না। ’ দুর্যোগের মধ্যে যাতায়াত বিপজ্জনক হয়ে উঠেছে। চারটি অঙ্গরাজ্য থেকে এসেছে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবর। কানসাসে আবহাওয়াজনিত কারণে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেছেন তিনজন। কয়েকটি গাড়ির সংঘর্ষে ওহাইওতে চার ব্যক্তি মারা গেছেন। আহত হয়েছেন আরো অনেকে। কেনটাকিতে মারা গেছেন তিনজন। তাঁদের মধ্যে দুজন গাড়ি দুর্ঘটনায়। লুইভিলে গৃহহীন এক ব্যক্তি শীতে মারা গেছেন।
আগে থেকেই সুদূর উত্তর মেরু থেকে বয়ে আসা এ ঝড়ের ব্যাপারে পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছিল। কর্মকর্তারাও বারবার সতর্ক করছিলেন এর প্রকোপ নিয়ে। চালকদের গাড়ি নিয়ে না বের হওয়ার অনুরোধ জানানো হয়। প্রয়োজনে বড়দিনের ছুটি কাটানোর পরিকল্পনাও বদলে ফেলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল।
গত কয়েক দিনে নিউ ইয়র্ক, সাউথ ডাকোটা, মিনেসোটাসহ কয়েকটি অঙ্গরাজ্যে শত শত গাড়িচালক রাস্তায় আটকা পড়েন। পরে তাঁদের উদ্ধার করেছে কর্তৃপক্ষ। কিছু অঙ্গরাজ্যে বড় মহাসড়কগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার থেকে পাঁচ হাজারেরও বেশি বিমানের ফ্লাইট বাতিল হয়েছে, বিলম্বিত হয়েছে আরো ১০ হাজারের বেশি। সূত্র : সিএনএন