বিএনপি কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তের স্বার্থে তল্লাশি চালিয়েছে। বিএনপি সেই তল্লাশিকে অতিরঞ্জিত করে বলছে বলে দাবি করেছেন তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, যে অফিসে তাজা বোমা পাওয়া গেছে, সে অফিসে তন্নতন্ন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তল্লাশি করবে, এটা খুবই স্বাভাবিক। বোমার সঙ্গে সেখানে গ্রেনেড বা অন্যান্য কোনো মারণাস্ত্র আছে কিনা, তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেখতেই হবে।
মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ‘বঙ্গবন্ধুর তিন প্রজন্মের রাজনীতি’ এবং দুটি জীবনীগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এসব কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী।
এ সময় তথ্য অধিদপ্তরের প্রধান তথ্য অফিসার মো. শাহেনুর মিয়া, সিনিয়র উপ-প্রধান তথ্য অফিসার মো. আবদুল জলিল, লেখক মো. মোতাহার হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, যে অফিসে তাজা বোমা পাওয়া গেছে, সে অফিসে তন্নতন্ন করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তল্লাশি করবে, এটা খুবই স্বাভাবিক। বোমার সঙ্গে সেখানে গ্রেনেড আছে কিনা বা অন্য কোনো মারণাস্ত্র আছে কিনা, সেটি দেখতে যাওয়া স্বাভাবিক। সেটা জিয়াউর রহমানের ফটোর বাক্সের মধ্যে আছে কিনা কিংবা খালেদা জিয়ার ফটোর বাক্সের মধ্যে ঢুকিয়ে রেখেছে কিনা, তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে দেখতেই হবে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমানের ভাস্কর্যের আয়না ভাঙা দেখিয়ে বলছে যেভাবে তছনছ করে…, তো জিয়াউর রহমানের স্কাল্পচারের যে ফাউন্ডেশন সেটার পেছনে কোনো কিছু লুকিয়ে রেখেছে কিনা, সেটা দেখতে হলে তো আয়না ভাঙতেই হবে। এছাড়া তো কোনো উপায় নেই। সুতরাং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্তের স্বার্থে সেখানে তল্লাশি চালিয়েছে।
হাছান মাহমুদ বলেন, তল্লাশিকে তারা অতিরঞ্জিত করে বলছে, আসলে ১০ ডিসেম্বর তারা প্রচণ্ডভাবে ফ্লপ করেছে। ১০ ডিসেম্বর যে হাঁকডাক দিয়ে তারা সমাবেশের ডাক দিয়েছিল, সেটার তুলনায় কিছুই করতে পারেনি। ১০ লাখ মানুষের সমাবেশ করবে বলে বড়জোর ৫০ হাজারের মানুষের একটা সমাবেশ করেছে। তাও একটি গরুর হাটের ময়দানে। সে কারণে তারা মুখরক্ষার জন্য নানা ধরনের অভিযোগ অনুযোগ উপস্থাপনের চেষ্টা করছে।
আগামী ২৪ ডিসেম্বর বিএনপি গণমিছিলের ডাক দিয়েছে, এ বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ২৪ ডিসেম্বর আওয়ামী লীগের সম্মেলন, ওই দিন এ ধরনের গণমিছিলের ডাক দেওয়া দুরভিসন্ধিমূলক। এভাবে যুগপৎ আন্দোলন, যৌথ আন্দোলন বিভিন্ন সময় তারা ডাক দেয়। গত ১৪ বছর ধরে তারা বিভিন্ন সময় ডাক দিয়েছে, তাদের ডাকে জনগণ সাড়া দেয়নি। এবারও যথারীতি তাই হবে।
২০২০ সালে ব্যাংকগুলো সুদের হার সিঙ্গেল ডিজিটে নিয়ে আসে। বর্তমানে মূল্যস্ফীতির ফলে ব্যাংকে টাকা রেখে ঠকছেন আমানতকারীরা—এ বিষয়ে মতামত জানতে চাইলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, এখন ইউরোপে আমানতের ওপর ব্যাংকের সুদের হার এক শতাংশ। মূল্যস্ফীতি কোনো কোনো দেশে ১০ শতাংশ, ৮ শতাংশ এবং ১১ শতাংশ। ৭০ শতাংশও আছে। তাহলে কি সেখানেও ব্যাংকের সুদের হার ১০, ২০ বা ৮০ শতাংশ করতে হবে। শুধু ব্যাংকের আমানতের সুদ হার কখনো মূল্যস্ফীতির সঙ্গে তুলনা করে কোনো রিপোর্ট করা হলে, তাহলে সেটা মিস লিডিং রিপোর্ট। এতে মানুষকে বিভ্রান্ত করা হয়। আমি মনে করি এ ধরনের বিভ্রান্তিকর রিপোর্ট করা সমীচীন নয়।
সম্প্রতি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বিভিন্ন দূতাবাসে দেওয়া চিঠির বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, দূতাবাসে গিয়ে বিএনপির পক্ষ থেকে অতিরঞ্জিত করে নানা বিষয় উপস্থাপন করা হয় এবং তাদের প্রমোট করা হয়, যাতে তারা আমাদের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে নাক গলায়। তাদের সঠিক তথ্য সরবরাহ করার স্বার্থে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে তথ্যগুলো জানানো হয়েছে।