মো.আহসানুল ইসলাম আমিন :
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে বিড়াল হত্যার বিচার চেয়ে থানায় কিশোরী আলোচিত সেই ঘটানার মৃত বিড়ালের ময়নাতদন্ত সম্পূর্ন হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৩ নভেম্বর) দুপুরে উপজেলা প্রাণী সম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে বিড়ালটি ময়নাতদন্ত করা হয়। প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা চিকিৎসক শবনম সুলতানা মৃত বিড়ালের ময়নাতদন্ত করেন। এবিষয়ে তিনি জানান, পুলিশের লোকজন সাংবাদিক সবার উপস্থিতেই ময়নাতদন্ত করা হয়। প্রতিটি অর্গানেরই ময়নাতদন্ত করেছি, কোন আঘাতের লক্ষণ পাওয়া যায়নি। আমার এখানে রিপোর্ট আমি দিয়ে দিয়েছি। তবে পয়জনিং কেস ধরার বিষয়টি আমাদের এখানে হয়না, পয়জনে টেস্ট করে ইন্সটিটিউট অব পাবলিক হেইল্থ। সে বিষয়টি তারা বলতে পারবে।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা সিরাজদিখান থানার উপ-পরিদর্শক কামরুল ইসলাম জানান, ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ভিসেরা রিপোর্টের জন্য ঢাকায় নেওয়া হবে। রিপোর্ট পাওয়া গেলে বিড়ালটিকে হত্যা করা হয়েছিলো না স্বাভাবিক মৃত্য হয়েছে তা বুঝা যাবে। ভিসেরা রিপোর্ট পাওয়া গেলে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
প্রসঙ্গত, গত ৩০অক্টোবর সিরাজদিখান থানায় পৌষ্য বিড়াল হত্যার অভিযোগ করে বিড়ালের মালিক আছিয়া আক্তারের মা আকলিমা বেগম। এঘটনায় বিড়ালটিকে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায় থানা পুলিশ। প্রথমে গড়িমসি করা হরেও গনমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পর আইনগত ব্যবস্থা নিতে তৎপর হয় সংশ্লিষ্টরা। আছিয়া উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের ফুরশাইল গ্রামের মো. কালাম শেখের মেয়ে। তিনি জানান, বিড়ালটিকে সে ছোটবেলা থেকেই লালন-পালন করত। গত রবিবার (৩০অক্টোবর) দুপুরে তার আদরের বিড়ালটিকে উত্তর ফুরশাইল গ্রামের মৃত সিরাজ মিয়ার স্ত্রী তাসলিমা ও তার মেয়ে সেলিনা কাঠ দিয়ে আঘাত করে। পরে চিকিৎসার জন্য পশু হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্মকর্তারা বিড়ালটিকে মৃত ঘোষণা করেন।