বিশেষ প্রতিনিধি: আওয়ামী লীগের গত চার দিনে মনোনয়নপত্র বিক্রি ও সংগ্রহের বিশাল কর্মযোগ্য শেষ হয়েছে। এবার ৩০০ আসনের বিপরীতে রেকর্ডসংখ্যা ৩৩৬২ টি মনোনয়নপত্র বিক্রি করেছে ক্ষমতাসীল এ দলটি। এবার ৩০০ আসনে গড়ে ১১ জনেরও বেশি প্রার্থী নৌকার মাঝি হতে চান। এখন সব মনোনয়ন প্রত্যাশীর দৃষ্টি দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা ও সংসদীয় বোর্ড সভার দিকে।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের তেজগাঁয়ের কার্যালয়ে সকাল ১১ টায় দলের মনোনয়ন বোর্ডের সভা আহবান করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী ও বোর্ডের প্রধান শেখ হাসিনার সভাপতিতে অনুষ্ঠিয় এই সভা থেকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীর প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হবে।
আগামী ৭ই জানুয়ারি অনুষ্ঠিতব্য জাতীয় নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রেসিডেন্ট সদস্য জনাব আব্দুর রহমান বলেন, এবারের দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও অংশগ্রহণমূলক হবে। বড় চ্যালেঞ্জ হল ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে আনা তবে আমরা তৃণমূল গ্রামগঞ্জে খবর নিয়ে জেনেছি যে মানুষ এবার ভোটকেন্দ্রে যেতে ইচ্ছুক এবং পছন্দের ব্যক্তিকেই ভোট দিতে চায়।
সবাই কেনো এবার নৌকা চায় এমন প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগের এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, মাননীয় নেত্রীর গ্রহণযোগ্যতা এবং তার জনপ্রিয়তা সবকিছু মিলে এই দলের মনোনয়নকে নিরাপদ বলে মনে করেন। তাদের মধ্যে একটা ইচ্ছাও প্রকাশ করা যে, পার্লামেন্ট মেম্বার হবে বা এমপি হবে। এটা তারাই ভালো বলতে পারবে এই উৎসাহ ও উদ্দীপনা কেন। রাজনীতিতে হঠাৎ করে নানা ধরনের নানা শ্রেণীবিধিরা অংশনেয়া বা আগ্রহ প্রকাশ করবে এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত আশাপ্রত ব্যাপার।
তিনি আরো বলেন যে, আমি বরাবরই রাজনীতি ও সংস্কৃতির কথা বলে আসছি। রাজনীতিটা যতদিন না রাজনৈতিক কর্মীর নিয়ন্ত্রণে থাকবে সে যে দলেরই হোক সে দল সুস্থ ভাবে জনগণকে নিয়ে সামনের দিকে এগোতে পারবে শুধুমাত্র নির্বাচন কেন্দ্রিক যারা দল করতে চায় বা নির্বাচন শেষ দল করাও শেষ এরকম মানুষদের দিয়ে আমাদের দলের নেতা কর্মীদের আস্থার একটা সংকটতো থাকেই। তারপরও যদি নির্বাচনে জেতার মতো প্রার্থী হয় তখন আমাদের দলীয় প্রধান জননেত্রী শেখ হাসিনা সেটিকে বিবেচনায় নেন।