Wednesday , 15 May 2024
শিরোনাম

আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়

আফগানদের বিপক্ষে বাংলাদেশের দুর্দান্ত জয়। লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আফগানিস্তানকে ৮৯ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। শুরুটা হয়েছিল হার দিয়ে। তাতে এশিয়া কাপ থেকে ছিটকে পড়ার শঙ্কা জাগে। বাঁচামরার ম্যাচে আজ পাকিস্তানের লাহোরে গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

স্কোরবোর্ড অনুযায়ী আফগানিস্তানের দরকার ছিল ৩৩৫ রান। আর বাংলাদেশের জন্য লক্ষ্য ছিল ২৭৯ রানেই অলআউট করা। ৩৩৪ রানের বড় সংগ্রহের পর সমীকরণ ছিল সহজ।

এশিয়া কাপের সুপার ফোরে যেতে হলে বাংলাদেশকে জিততে হবে ৫৫ কিংবা তারচেয়ে বেশি রানের ব্যবধানে। হাতের নাগাল থেকে পায় ছুটে যাওয়া ম্যাচে সেই কাজটাই মনে হচ্ছিল অসম্ভব। কিন্তু বাংলাদেশ ম্যাচে ফিরেছে। বড় ব্যবধানের জয় নিশ্চিত করেছে সুপার ফোরের অংশগ্রহণ।

রহমত শাহ ৫৭ বলে ৩৩ রান করে ফিরেছেন। তাসকিন তাকে বোল্ড করেছেন। ইব্রাহিম জাদরান ৭৪ বলে ১০ চার ও এক ছক্কায় ৭৫ রান করে আউট হয়েছেন। হাসানের বলে উইকেটের পেছনে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়েছেন মুশফিক। এর আগে ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ ১ রান করে শরিফুলের বলে লেগ বিফোর হয়েছেন।

সবাইকে অবাক করে দিয়ে আজ ওপেনিংয়ে নাঈম শেখের সঙ্গী হয়েছিলেন অলরাউন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ। ৬০ রানের সফল ওপেনিং জুটির পর দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিও করেছেন তিনি। এরপর টাইগারদের দ্রুত দুই উইকেট হারানোর পর নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে গড়েছেন ১৯৪ রানের রেকর্ড জুটি, শতক হাঁকিয়েছেন শান্ত নিজেও। দুই টপ অর্ডারের জোড়া শতকে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ৩৩৪ রানের সংগ্রহ পায় টাইগাররা।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাজেভাবে হারার পর এই ম্যাচে একাদশে তিন বদল আনে বাংলাদেশ। গত ম্যাচে অভিষিক্ত তানজিদ তামিম, অভিজ্ঞ বোলার মোস্তাফিজুর রহমান ও অলরাউন্ডার শেখ মেহেদীর জায়গায় দলে আসেন আফিফ হোসেন, শামীম হোসেন পাটোয়ারী ও হাসান মাহমুদ। তামিমের জায়গায় নতুন কোনো ওপেনার না নিয়ে ওপেনিং জুটিতে ‘এক্সপেরিমেন্ট’ করার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন সাকিব-হাথুরু। মেহেদী হাসান মিরাজকে নাজমুল হোসেন শান্ত’র সঙ্গে ব্যাট হাতে নামতে দেখে সেটারই সার্থকতা মেলে।

এর আগে মাত্র একবারই ওপেন করতে নেমেছিলেন মিরাজ। ভারতের বিপক্ষে গত এশিয়া কাপের সে ম্যাচে লিটন দাসের সঙ্গে সেঞ্চুরি জুটি গড়েছিলেন মিরাজ। আজ এই অলরাউন্ডার আরও ঝলসে উঠলেন যেন। মুজিব-ফারুকীদের প্রথম থেকে দেখেশুনে খেলা মিরাজ ইনিংস এগোনোর সঙ্গে সঙ্গে হাত খুলেছেন। শেষমেশ আঙ্গুলের ব্যথায় অবসর নেয়ার আগে সেঞ্চুরি করেছেন, ১১২ রানের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলেছেন।

তাকে যোগ্য সঙ্গ দিয়ে গেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১০৫ বলে ৯ চার আর দুই ছক্কায় সাজানো শান্ত’র ১০৪ রানের ইনিংসটা শেষ হয়েছে দুর্ভাগ্যজনক এক রানআউটে। কিছুদিন আগেই বাবা হওয়া, ছেলেকে উৎসর্গ করা ইনিংসটা না হয় আরেকটু বড় হতো! এর আগে বাংলাদেশের একই ইনিংসে জোড়া সেঞ্চুরির ঘটনা ঘটেছিল চারবার।

শেষদিকে ১৮ বলে সাকিবের অপরাজিত ৩২, ১৫ বলে মুশফিকের ২৫ আর ৬ বলে শামীমের ১১ রান ৩৩৪ রানে পৌঁছে দেয় বাংলাদেশকে। উইকেটশূন্য থেকেছেন রশিদ খান, মোহাম্মদ নবী ও ফজলহক ফারুকির মতো বোলাররা।

Check Also

কেন বিলম্ব বিশ্বকাপের দল ঘোষণায়, জানালেন প্রধান নির্বাচক

আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে বাংলাদেশ জাতীয় দলের লাল-সবুজ জার্সি গায়ে কোন ১৫ জন মাঠে নামবেন? তাদের …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x