ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৫ জুলাই ২০২৫, ৩০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

আয়কর গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধানে ১৮৭৪ কোটি টাকার কর ফাঁকি

সাংবাদিক

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আওতায় নতুন গঠিত আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট গত সাত মাসে ১ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকার কর ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার (১৪ জুলাই) এ তথ্য জানানো হয়।

গত বছরের ডিসেম্বরে এনবিআরের অধীনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে এই বিশেষ ইউনিট। এর লক্ষ্য ছিল আয়কর ফাঁকির বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে রাজস্ব ঘাটতি হ্রাস করা এবং কর সংস্কৃতির বিকাশে ভূমিকা রাখা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংস্থাটি এখন পর্যন্ত ১৮৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তের মাধ্যমে এই বিপুল পরিমাণ ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করেছে।

এনবিআর জানায়, কর ফাঁকির প্রমাণ পাওয়ার পর এরই মধ্যে ৬৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ২৩১টি এ-চালানের মাধ্যমে ১১৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। ইউনিটের এই সাফল্য রাজস্ব পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে বলে মনে করছে এনবিআর।

আয়কর বিভাগের এ গোয়েন্দা ইউনিট ছাড়াও এনবিআরের আওতায় ভ্যাট এবং শুল্ক বিভাগের নিজস্ব তদন্ত ইউনিট রয়েছে। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (CIC) নামে আরও একটি স্বতন্ত্র ইউনিট কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কর ফাঁকি রোধে।

বিজ্ঞপ্তিতে আয়কর গোয়েন্দা ইউনিটের কার্যক্রমকে রাজস্ব প্রশাসনের জন্য একটি নৈতিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও আইনি অগ্রগতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সংস্থাটির মতে, শুধু অর্থ উদ্ধার নয়, বরং করদাতাদের মধ্যে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও সচেতনতা বাড়াতে এই ইউনিট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৫:২৩:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫
৫০৭ Time View

আয়কর গোয়েন্দা ইউনিটের অনুসন্ধানে ১৮৭৪ কোটি টাকার কর ফাঁকি

আপডেটের সময় : ০৫:২৩:৩৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) আওতায় নতুন গঠিত আয়কর গোয়েন্দা ও তদন্ত ইউনিট গত সাত মাসে ১ হাজার ৮৭৪ কোটি টাকার কর ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করেছে। প্রতিষ্ঠানটির এক বিজ্ঞপ্তিতে সোমবার (১৪ জুলাই) এ তথ্য জানানো হয়।

গত বছরের ডিসেম্বরে এনবিআরের অধীনে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে এই বিশেষ ইউনিট। এর লক্ষ্য ছিল আয়কর ফাঁকির বিরুদ্ধে গোয়েন্দা তৎপরতা চালিয়ে রাজস্ব ঘাটতি হ্রাস করা এবং কর সংস্কৃতির বিকাশে ভূমিকা রাখা। প্রতিষ্ঠার পর থেকে সংস্থাটি এখন পর্যন্ত ১৮৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রাথমিক তদন্তের মাধ্যমে এই বিপুল পরিমাণ ফাঁকির তথ্য উদঘাটন করেছে।

এনবিআর জানায়, কর ফাঁকির প্রমাণ পাওয়ার পর এরই মধ্যে ৬৩ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান ২৩১টি এ-চালানের মাধ্যমে ১১৭ কোটি ৪৩ লাখ টাকা সরকারের কোষাগারে জমা দিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে শতাধিক ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক হিসাব জব্দ করা হয়েছে। ইউনিটের এই সাফল্য রাজস্ব পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়ায় নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করেছে বলে মনে করছে এনবিআর।

আয়কর বিভাগের এ গোয়েন্দা ইউনিট ছাড়াও এনবিআরের আওতায় ভ্যাট এবং শুল্ক বিভাগের নিজস্ব তদন্ত ইউনিট রয়েছে। পাশাপাশি, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সেল (CIC) নামে আরও একটি স্বতন্ত্র ইউনিট কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কর ফাঁকি রোধে।

বিজ্ঞপ্তিতে আয়কর গোয়েন্দা ইউনিটের কার্যক্রমকে রাজস্ব প্রশাসনের জন্য একটি নৈতিক, প্রযুক্তিনির্ভর ও আইনি অগ্রগতি হিসেবে উল্লেখ করা হয়। সংস্থাটির মতে, শুধু অর্থ উদ্ধার নয়, বরং করদাতাদের মধ্যে আইনের প্রতি শ্রদ্ধা ও সচেতনতা বাড়াতে এই ইউনিট গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।