হুমায়ুন কবির, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধিঃ
বড় হয়ে হব আমি ডাক্তার, অথবা ইঞ্জিনিয়ার, না হয় বৈমানিক, এমন আকাশছোঁয়া স্বপ্ন নিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পে বেড়ে উঠছে শিশু মুরসালিন কাজল।
বলছি কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার শোমসপুর আশ্রয়ন প্রকল্পের এক নং শেডের এক নং ঘরের বেড়ে ওঠা শিশু মুরসালিন কাজলের কথা।
বাবা তাওফিক আহাম্মেদ দিনমজুর, মা হোসনেয়ারা বেগম নিজের ঘরের গৃহিণী কাজ করেন। সংসারের একমাত্র বাতি মুরসালিন কাজল কে নিয়ে যত জল্পনা-কল্পনা। প্রাথমিক গানের হাতেখড়ি পার্শ্ববর্তী মাদ্রাসা থেকে পেয়েছে বর্তমান সরকারের দেওয়া বিনামুল্যে একটি বই। সেই সাথে রয়েছে বাল্যশিক্ষা আদর্শলিপি। এ নিয়ে জেনো শিশু মুরসালিনের আকাশছোঁয়া স্বপ্নের ডালিখানি ।
সোমবার বিকালে নিয়মিত আশ্রয়ন প্রকল্প বাসীর খোঁজখবর নিতে গিয়েছিলেন মানবিক উপজেলা নির্বাহি অফিসার রিপন বিশ্বাস শোমসপুর আশ্রয়ন প্রকল্পে।
ঢুকতেই প্রথম শেডের প্রথম বাসিন্দা শিশু মুরসালিন কে আকাশছোঁয়া স্বপ্নের ডাল এখানের সারথি হয়ে দাঁড়ালেন মানবিক উপজেলা নির্বাহি অফিসার রিপন বিশ্বাস।
শিশু মুরসালিন কাজলকে বাল্যশিক্ষা দনে তার মা হোসনেয়ারা প্রয়াসের সহযাত্রী হলেন। সকল প্রটোকল ভেঙেই আশ্রয়ণ প্রকল্পের মেঝেতে বসে পড়লেন তিনি।
পরিবারের আর্থিক অবস্থার খোঁজ-খবর নিলেন। সেই সাথে বর্তমান সরকারের সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনীর সৌভাগ্যবান উপকারভোগী হোসনেয়ারার স্বপ্নের সন্তান মুরসালিন কাজলের উচ্চশিক্ষার সকল আশ্বাস প্রদান করলেন।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দাদের মাঝে এক আনন্দঘন পরিবেশের অবতারণা হয়ে দাঁড়ান উপজেলা নির্বাহী অফিসার রিপন বিশ্বাস এর আকরিক পরিদর্শন। সকলেই আনন্দ-উৎসব মুখর হয়ে উঠলেন।
উপস্থিত আশ্রয়ন প্রকল্পের বাসিন্দারা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য দোয়া করলেন দোয়া করলেন উপজেলা নির্বাহি অফিসার কেউ।