শুরু হয়েছে রহমত, বরকত ও নাজাতের মাস রমজান। সারাদিন পানাহার থেকে বিরত থাকার পর সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে রোজা ভাঙার উদ্দেশ্যে কিছু খাওয়াকে ইফতার বলে।
সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেরি না করে ইফতার করা প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অন্যতম সুন্নাত। ‘সূর্যাস্তের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর দেরি না করে দ্রুত ইফতার করে নেয়া সর্বোত্তম।’ (বুখারি)
ইফতারের আগমুহূর্তে ইফতার সামনে নিয়ে তাসবিহ-তাহলিল ও তাওবা-ইসতেগফার আল্লাহর কাছে অনেক পছন্দনীয়। ইফতারের সময় আল্লাহ বান্দার সব চাওয়া পূরণ করে দেন।
ইফতারের আগমুহূর্তে বিভিন্নরকম আমল করতেন বিশ্বনবী (সা)।
হজরত মুয়াজ ইবনে যুহরাহ রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ইফতার করতেন, তখন এ দোয়া পড়তেন-
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা সুমতু, ওয়া আ’লা রিযক্বিকা আফত্বারতু।’
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমারই জন্যে রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিক দ্বারা ইফতার করছি। (আবু দাউদ মুরসাল, মিশকাত)
হজরত আবদুল্লাহ ইবনে ওমর রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যখন ইফতার করতেন তখন বলতেন-
উচ্চারণ : ‘জাহাবাজ জামাউ; ওয়াবতালাতিল উ’রুকু; ওয়া ছাবাতাল আঝরূ ইনশাআল্লাহ।’
অর্থ : ‘(ইফতারের মাধ্যমে) পিপাসা দূর হলো, শিরা-উপসিরা সিক্ত হলো এবং যদি আল্লাহ চান সাওয়াব ও স্থির হলো’ (আবু দাউদ, মিশকাত)