রাশিয়াকে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ও ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র সহ সামরিক সহায়তা প্রদান করছে ইরান, এর বিনিময়ে রাশিয়া ইরানকে অভূতপূর্ব সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করছে। শুক্রবার এমন অভিযোগ করে মস্কো এবং তেহরানের মধ্যে প্রতিরক্ষা সম্পর্ক গভীর হওয়ার বিষয়ে সতর্ক করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
শুক্রবার হোয়াইট হাউসের ন্যাশনাল সিকিউরিটি কাউন্সিলের মুখপাত্র জন কিরবি, মার্কিন গোয়েন্দা মূল্যায়নের উদ্ধৃতি দিয়ে বলেছেন, রাশিয়া ইরানকে অভূতপূর্ব স্তরের সামরিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা প্রদান করছে। যা তাদের সম্পর্ককে একটি পূর্ণাঙ্গ প্রতিরক্ষা অংশীদারিতে রূপান্তরিত করছে।
ওয়াশিংটন এর আগে ইরান এবং রাশিয়ার মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতার নিন্দা করেছে কিন্তু শুক্রবার হেলিকপ্টার এবং যুদ্ধবিমান এবং ড্রোনের মতো সরঞ্জাম জড়িত একটি বিস্তৃত সম্পর্ক বর্ণনা করেছে।
কিরবি বলেন, ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য রাশিয়ার মাটিতে একটি ড্রোন তৈরীর কারখানা স্থাপনের কথা বিবেচনা করছে রাশিয়া এবং ইরান। অন্যদিকে রাশিয়া সুখোই এসইউ-৩৫ ফাইটারে ইরানের পাইলটদের প্রশিক্ষণ দিচ্ছে, যা সম্ভাব্যভাবে চলতি বছরের মধ্যে বিমানটি সরবরাহ করবে রাশিয়া। এই যুদ্ধবিমানগুলি ইরানের বিমান বাহিনীকে তার আঞ্চলিক প্রতিবেশীদের তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে শক্তিশালী করবে।
কিরবি জানিয়েছেন, ইরানি ড্রোন অধিগ্রহণ ও ব্যবহারে সক্রিয় তিনটি রুশ-ভিত্তিক সংস্থার ওপর নিষেধাজ্ঞা দেবে যুক্তরাষ্ট্র। যেগুলো হল, রাশিয়ান মহাকাশ বাহিনী, ৯২৪ তম স্টেট সেন্টার ফর ড্রোন এভিয়েশন এবং সামরিক বিমান চলাচল সংস্থা।
নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে এক বিবৃতিতে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এন্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, এই দুইদেশের মধ্যে সামরিক সরঞ্জাম স্থানান্তরকে ব্যাহত করতেই এই পদক্ষেপ নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।
উল্লেখ্য, পশ্চিমা দেশগুলো ইরানের বিরুদ্ধে ইউক্রেনের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য রাশিয়াকে ড্রোন সরবরাহ করার জন্য বরাবরই অভিযোগ করেছে। প্রথমদিকে ইরান তা আস্বীকার করলেও গত মাসে, তেহরান স্বীকার করেছিল, তারা রাশিয়ায় ড্রোন পাঠিয়েছিল কিন্তু মস্কোর ইউক্রেন আক্রমণের আগে সেগুলি সরবরাহ করা হয়েছিল।
সূত্র: আলজাজিরা