ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে সংঘাত শুরুর পর গড়িয়েছে ২৪ ঘণ্টার বেশি সময়। এতেই থেমে থাকেনি হামাস যোদ্ধারা। একই সঙ্গে ইসরায়েলেও হু হু করে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৬০০ ছাড়িয়েছে। নিহতের মধ্য সাধারণ মানুষের পাশাপাশি সামরিক বাহিনীর সদস্যও রয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও নিশ্চিত করেছে, হাসপাতালে আহতের সংখ্যা ২০৪৮ এ পৌঁছেছে, যার মধ্যে ২০ জনের অবস্থা গুরুতর এবং ৩৩০ জন গুরুতর আহত। হামলার ৩০ ঘণ্টার বেশি সময় পরেও সেনাবাহিনী সীমান্ত এলাকায় বন্দুকধারীদের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে বলে জানিয়েছে আল জাজিরা।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসের হামলায় প্রথমে ২৬ সেনা নিহতের তথ্য জানিয়েছিল ইসরাইলি সেনাবাহিনী। তবে রোববার ইসরাইল সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, হামলায় তাদের ৪৪ সেনা ও অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনীর ৩০ সদস্য নিহত হওয়ার ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া গেছে। তারা পুলিশ, সীমান্তরক্ষী এবং সন্ত্রাসবিরোধী বাহিনী ইয়ামামের সদস্য ছিলেন।
এদিকে, ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর হামলায় গাজা ভূখণ্ডে এ পর্যন্ত অন্তত ৩১৩ ফিলিস্তিনি নিহত এবং প্রায় ২ হাজার জন আহত হয়েছেন বলে গাজায় ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে।
সময় যত গড়াচ্ছে পরিস্থিতির তত অবনতি হচ্ছে। হামাস ও ইসরায়েলি বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই অব্যাহত রয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে গাজার সীমান্তবর্তী বিভিন্ন শহর থেকে নিজেদের নাগরিকদের সরিয়ে নিচ্ছে ইসরায়েল।
ইসরায়েলের সামরিক মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি বলেছেন, আগামী ২৪ ঘণ্টায় আমাদের লক্ষ্য হলো গাজার আশপাশে বসবাসকারী সব নাগরিকদের সরিয়ে নেয়া।
এদিকে সাধারণ মানুষকে চলমান লড়াইয়ে যোগ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সশস্ত্র সংগঠন হামাসের সামরিক শাখা।
ইসরায়েলি বাহিনী ও হামাস যোদ্ধাদের মধ্যে লড়াই অব্যাহত থাকায়, আল-কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেদা একটি নতুন বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। এতে তিনি জনগণকে এই যুদ্ধে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছেন।