দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে লড়াইয়ে পরিষ্কার ফেভারিট উরুগুয়ে। যদিও মাঠের খেলা কেউ কাউকে ছেড়ে কথা বলেনি। আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে জমজমাট খেলাই দেখ গেলো দুই দলের মাঝে। যদিও শেষ পর্যন্ত গোলশূন্য ড্র হয়েছে। ম্যাচের প্রথম ১২ মিনিটে বেশ আধিপত্য দেখাতে থাকে দক্ষিণ কোরিয়া। এরপর ধীরে ধীরে গুছিয়ে খেলতে থাকে উরুগুয়ে।
খেলার ১৯তম মিনিটে প্রথম সুযোগটি পায় উরুগুয়ে। হোসে মারিয়া হিমেনেসের লম্বা করে বাড়ানো বল ডি-বক্সে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে শট নেন উরুগুয়ের ফেদে ভালভারদে। তবে ক্রসবারের ওপর দিয়ে বল চলে যায়।
এর তিন মিনিট পর দারউইন নুনেস আরেকটি সহজ সুযোগ নষ্ট করেন। তবে ৩৪তম মিনিটে প্রথম দক্ষিণ কোরিয়া ভালো একটি সুযোগ পায়। সামনে শুধু গোলরক্ষককে পেয়ে উড়িয়ে মেরে দলকে হতাশ করেন অরক্ষিত ফরোয়ার্ড হওয়াং উই-জো।
ম্যাচের ৪৩ মিনিটে গুছিয়ে আক্রমণে যায় উরুগুয়ে। তবে দক্ষিণ কোরিয়ার ডিফেন্ডারদের দক্ষতায় কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা পায়। কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে হেড করে ডিয়াগো গোদিন। তবে তা সাইড বারে লেগে ফিরে আসে। ফলে গোল থেকে বঞ্চিত হয় উরুগুয়ে। শেষ পর্যন্ত আর কোনও গোল না হলে গোলশূন্য থেকে বিরতিতে যায় দুদল।
বিরতির পরও শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ফুটবল খেলে দুই দল। খেলা শুরুর কিছুক্ষণ পর সুয়ারেজকে তুলে কাভানিকে নিয়ে নামান উরুগুয়ে কোচ দিয়েগো অলেনসো। এদিন খুঁজে পাওয়া যায়নি সুয়ারেজকে।
ম্যাচের শেষ ২৫ মিনিট উরুগুয়ে বেশ কিছু আক্রমণ তুলে আনছিল। কিন্তু কাজের কাজ হচ্ছিল না। অন্যদিকে কোরিয়া গোল খাব না মানসিকতায় সাবধানে ফুটবল খেলে শেষ দিকটা। ৮১ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে শট নিয়ে চেষ্টা করেছিলেন নুনেস। তবে সেটিও চলে যায় পোস্টের বাইরে।
ম্যাচের শেষ দিকে ভালভারদের শট পোস্টে লেগে ফিরে এলে হতাশ হতে হয় উরুগুয়েকে। এক মিনিট পর সহজ সুযোগ মিস করলেন কোরিয়ার সং। শেষ পর্যন্ত ড্র নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় উভয় দলকে।