চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের জনসভায় মানুষের ঢল নেমেছে। পলোগ্রাউন্ড মাঠসহ আশপাশের এলাকায় জনস্রোত নেমেছে। উৎসবের আমেজ নিয়ে ঐতিহাসিক পলোগ্রাউন্ড ময়দানে জড়ো হয়েছেন বিপুলসংখ্যক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী।
রোববার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মহানগর এবং উত্তর-দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত এ জনসভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষণ দেবেন।
জনসভায় যোগ দিতে সকাল থেকেই পোস্টার, ব্যানার হাতে মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে এসেছেন নেতাকর্মীরা। চট্টগ্রাম ও আশপাশের জেলা থেকে বাস ও ট্রাকযোগে লোকজন আসছে।
ঢাক-ঢোল, বাজনার তালে তালে নেচে গেয়ে জনসভা মাঠে আসেন অনেকে। বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা গায়ে নানা রঙের জামা, মাথায় ক্যাপ পরে আসেন। বিভিন্ন ইউনিটের রিঙিন পোশাকের বর্ণিল রঙে সেজেছে পলোগ্রাউন্ড মাঠ ও আশপাশের সড়কগুলো।
স্মরণকালের সবচেয়ে বড় জনসভা করার আশাবাদ নিয়ে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ ও এর সংগঠনগুলো। চট্টগ্রামে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রায় ১১ বছর পরে অংশ নেয়া এ জনসভা নিয়ে তাদের জল্পনা-কল্পনা অনেক। সকাল থেকেই এর প্রতিফলন দেখা যায়। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে উৎসবমুখর পরিবেশে দলে দলে লোক মাঠে ঢুকছে।
প্রধানমন্ত্রীর জনসভাকে ঘিরে চট্টগ্রামজুড়েই আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা গেছে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা। দুপুর সাড়ে ১২টায় দেখা যায়, পলোগ্রাউন্ড মাঠ জনতায় পরিপূর্ণ। মাঠে জায়গা না পেয়ে অনেক নেতাকর্মী সামনের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। পাশের সিআরবি, টাইগারপাস, কদমতলী এলাকায়ও নেতা-কর্মীদের অবস্থান করতে দেখা গেছে।
পলোগ্রাউন্ড মাঠের পশ্চিম প্রান্তে ১৬০ ফুট দৈর্ঘ্যের নৌকা প্রতিকৃতির ওপর নির্মাণ করা হয়েছে বিরাট জনসভার মঞ্চ। লাল-নীল, সবুজ, সাদা, হলুদসহ রংবেরঙের রঙিন বেলুনে বর্ণিল সাজে সাজানো হয় পুরো মাঠ।
এর আগে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় ১০ লক্ষাধিক মানুষ সমবেত হবে। পলোগ্রাউন্ড ছাপিয়ে জনসভা জনসমুদ্রে পরিণত হবে।’
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আমরা আশা করছি পলোগ্রাউন্ডের মাঠ পূর্ণ হয়ে যাবে। মাঠের বাইরে আরও আট-দশগুণ মানুষের জমায়েত হবে ইনশাআল্লাহ।’
এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে চট্টগ্রামের ভাটিয়ারির বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমিতে (বিএমএ) পৌঁছান। ৮৩তম বিএমএ দীর্ঘমেয়াদি কোর্সের রাষ্ট্রপতি কুচকাওয়াজ পরিদর্শনে মিলিটারি একাডেমির অনুষ্ঠানে যোগ দেন তিনি। সেখানে উপস্থিত ছিলেন সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
জনসভা থেকে প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় বাস্তবায়িত ৩০টি উন্নয়ন প্রকল্প এবং ৪ প্রকল্পের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করবেন।