মানিকগঞ্জের ঘিওর উপজেলায় এক দন্ত চিকিৎসকের স্ত্রী ও তার দুই মেয়ের গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। উপজেলার বালিয়াখোরা ইউনিয়নের আঙ্গুরপাড়া গ্রামে একটি ঘর থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়।
এ হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত চিকিৎসক আসাদুজ্জামান রুবেলকে (৪০) আটক করেছে পুলিশ। রবিবার (০৮ মে) সকালের দিকে উপজেলার পাচুরিয়া এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক আসাদুজ্জামান রুবেল উপজেলার বালিয়াখোড়া ইউনিয়নের আঙ্গারপাড়া গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে। তিনি পেশায় একজন গ্রাম্য দন্ত চিকিৎসক এবং উপজেলার বানিয়াজুরি এলাকায় তার চেম্বার রয়েছে।
স্থানীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, প্রায় ১৭-১৮ বছর আগে আসাদুজ্জামান রুবেল ও সাইজুদ্দিনের মেয়ে লাভলী আক্তার ভালবেসে বিয়ে করেন। বিয়ের পর থেকেই রুবেল স্ত্রী ও মেয়েদের নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে থাকতেন। প্যারামেডিকেল কোর্স শেষে দন্ত চিকিৎসা শুরু করেন তিনি। কিছু দিন আগে ভুল চিকিৎসার কারণে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হয়। এর মধ্যে ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করছিলেন রুবেল। তবে আজ জরিমানার বাকি টাকা দেওয়ার কথা ছিল।
ঘিওর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ বিপ্লব বলেন, স্ত্রী ও দুই মেয়েকে হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত রুবেলকে আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। ঋণগ্রস্ত থাকায় অভিযুক্ত ব্যক্তি হতাশা থেকে এমন ঘটনা ঘটিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। এ ঘটনায় নিহত লাভলী আক্তারের বাবা সাইজউদ্দিন বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা করবেন।
নিহতরা হলেন- উপজেলার বালিয়াখোড়া গ্রামের দন্ত চিকিৎসক আসাদুজ্জামান রুবেলের স্ত্রী লাভলী (৩৫), মেয়ে ছোঁয়া (১৬) ও কথা (১২)। বড় মেয়ে স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের দশম এবং ছোট মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়াশুনা করতেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা।