কাঠমুন্ডুর দশরথ রঙ্গশালায় আজ সোমবার নতুন ইতিহাস গড়েছে বাংলাদেশের মেয়েরা। জোড়া গোল আসে কৃষ্ণা রাণী সরকারের পা থেকে। ফাইনালে নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথমবারের মতো আঞ্চলিক এই প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে তারা।
দক্ষিণ এশিয়ার নারী ফুটবলের শ্রেষ্ঠত্বের শিরোপা সারাদেশের মানুষের বলে উল্লেখ করেছেন অধিনায়ক সাবিনা খাতুন। তার জীবনে এটাই সবচেয়ে সেরা দিন বলেও জানিয়েছেন বাংলাদেশ দলের অধিনায়ক।
শিরোপা নিয়ে দেশে ফেরার অপেক্ষায় থাকা সাবিনা ম্যাচের পর প্রকাশ করেছেন তীব্র উচ্ছ্বাস, ‘দীর্ঘ ১২-১৩ বছরের অপেক্ষা শেষ হয়েছে। দেশবাসী দোয়া করছিল এবং গত রাতে (রোববার) আমি দেখেছি যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অনেকে আমাকে ট্যাগ করেছিল এবং বলছিল ট্রফিটা ঘরে নিয়ে আসার জন্য। এই ট্রফি সারা দেশের, সারা দেশের মানুষের। ভালো লাগছে যে ট্রফিটা নিয়ে যেতে পারছি।’
সাফের সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার জিতেছেন বাংলাদেশের দলনেতা সাবিনা। পাঁচ ম্যাচ খেলে আট গোল করেছেন তিনি। দুটি হ্যাটট্রিকও আছে তার। একটি গ্রুপ পর্বে পাকিস্তানের বিপক্ষে, অন্যটি সেমিফাইনালে ভুটানের বিপক্ষে। পাশাপাশি সতীর্থ দিয়ে গোল করিয়েছেন সাবিনা। ফলে আসরের সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়ের সম্মাননাও উঠেছে তার হাতে।
ব্যক্তিগত অর্জন নিয়ে ২৮ বছর বয়সী সাবিনা বলেছেন, ‘আমরা ফেয়ার প্লে ট্রফি জিতেছি। আমি সর্বোচ্চ গোলদাতার পুরস্কার ও আসরের সবচেয়ে মূল্যবান খেলোয়াড়ের পুরস্কারও জিতেছি। শিরোপা জেতার পাশাপাশি এটা আমার জন্য অনেক বড় অর্জন। আমি মনে করি, এটা আমার জীবনের সেরা দিন।’
বদলি নামা শামসুন্নাহার ম্যাচের ১৪তম মিনিটে উল্লাসে মাতান বাংলাদেশকে। এরপর ৪২তম মিনিটে দলের পক্ষে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন কৃষ্ণা। ৭০তম মিনিটে অনিতার লক্ষ্যভেদে ঘুরে দাঁড়ানোর আভাস দেয় নেপাল। তবে সাত মিনিট পর কৃষ্ণা ম্যাচে নিজের দ্বিতীয় গোল করলে জয় নিশ্চিত হয়ে যায় বাংলাদেশের।
ফাইনালে আলো ছড়ানো ফরোয়ার্ড কৃষ্ণা নিজের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন এভাবে, ‘প্রথমত, খুব ভালো লাগছে যে আমরা সেরা হতে পেরেছি। সব কিছু মিলিয়ে খুব ভালো লাগছে। আমরা অনেক পরিশ্রম করেছি। সেটা আপনারাও দেখেছেন, সবাই দেখেছে।’