গ্র্যাজুয়েটদের উদ্দেশ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেছেন, অর্জিত এই বিদ্যা, এই সনদ, এই প্রজ্ঞা সমাজে আলো ছড়ানোর আগে যেন তোমাদের অন্তরকে পুরোপুরি আলোকিত করে, সেই চেষ্টা করবে।
তিনি বলেন, তোমরা অনুজদের জন্য অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব হিসেবে নিজেদের মানবিক, অসাম্প্রদায়িক, নৈতিক মূল্যবোধ সম্পন্ন মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে। আজ শনিবার (১৯ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৩তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে তিনি এ কথা বলেন।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, বাংলাদেশ আজ বিশ্ব মানচিত্রে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। আমরা গর্বিত, এ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রণীত রূপকল্প ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বাংলাদেশ হওয়ার স্বপ্ন দেখছি। আর সেই স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেওয়ার কারিগর হচ্ছো তোমরা।
বর্তমান পৃথিবী তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর। তোমরা সর্বদা এর ইতিবাচক এবং নেতিবাচক প্রভাব সম্পর্কে সচেতন থাকবে। মানব সভ্যতার উন্নয়নে যেই প্রযুক্তি তোমাদের ব্যবহার করার কথা, সচেতন থেকো সেই প্রযুক্তি যেন তোমাদের ব্যবহার করে না ফেলে। নিজেদের সময়কে সর্বোচ্চ সুন্দর এবং সৃষ্টিশীল কাজের পেছনে ব্যয় করো। যোগ করেন উপাচার্য।
ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, নিজ পরিবার-ঘর হচ্ছে প্রশান্তির সর্বোচ্চ জায়গা। সুস্থ সুন্দর পারিবারিক জীবন একটি সুন্দর সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা তৈরিতে ভূমিকা রাখতে সহায়তা করবে।
রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদের সভাপতিত্বে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. জ্যঁ তিরোল। এছাড়া উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এসএম মাকসুদ কামাল, রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার এবং বিভিন্ন অনুষদের ডিনরা উপস্থিত ছিলেন।