Imam Hossain
নিজের নামটা ছাপা অক্ষরে দেখার এক প্রচণ্ড সাধ ছিলো ছোটবেলায়। সে সাধ পূরণ করতে বেশি সময় নেননি তিনি। কলেজের গণ্ডি পেরুবার আগেই বইমেলায় প্রকাশিত বইয়ে নাম তুলেছেন নিজের, লিখেছেন গল্প। বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা কালীন এক এক করে প্রকাশিত হয় তার তিনটি মৌলিক বই—হয়েছেন পাঠকপ্রিয়, নাম ছড়িয়েছে দেশজুড়ে। দেশের নানা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেশন ইন্সট্রাক্টর হিসেবেও তার সুনাম চারদিকে। বড় আকারে কাজ করছেন সমাজ নিয়ে, সমাজের মানুষ নিয়ে।
বলছি তরুণ লেখক, উপস্থাপক এবং সমাজসেবক নাহিদ আহসানের কথা। জন্মস্থান ও বেড়ে ওঠা ঢাকার মিরপুরে। ব্যস্ত শহরে বেড়ে ওঠা মানুষটার সব ভালোলাগা জুড়েই যেন গ্রামীণ পরিবেশ, প্রকৃতি। বইতেও ফুটে ওঠেছে সেসব বিষয়। বোঝা গিয়েছে তিনি কতটা মন দিয়ে এই প্রকৃতিকে অনুভব করেন। আরও জানা যায়—কতটা গভীরভাবে তিনি মানুষের জীবনটাকে উপলব্ধি করতে পারেন!
বিজিএমইএ ইউনিভার্সিটি অফ ফ্যাশন এন্ড টেকনোলজি থেকে পড়াশোনা শেষ করবার পর এখন চাকরি করছেন দেশের অন্যতম সেরা পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান মাসকো গ্রুপে। পড়াশোনা চলাকালীন সময়ে কাজ করেছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা প্রতিষ্ঠান বিইউএফটি ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ক্লাবে। শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নে আয়োজন করেছেন অসংখ্য অনুষ্ঠান। সবথেকে বড় আয়োজন ছিলো বিইউএফটি জাতীয় চাকরি মেলা ২০২৩।
এছাড়াও তিনি কাজ করছেন বাংলাদেশের অন্যতম সেরা শিক্ষার্থীভিত্তিক দক্ষতা উন্নয়নমূলক প্রতিষ্ঠান ‘এক্সিলেন্স বাংলাদেশ’ এর হেড অফ মার্কেটিং হিসেবে। দেশের অসংখ্য বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দক্ষতা উন্নয়নের জন্য বড় আকারে কাজ করছেন এই সংগঠনের হয়ে। স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেশন ইন্সট্রাক্টর হিসেবে উপস্থিত থাকেন নানা আয়োজনে। অফলাইন কিংবা অনলাইন—বর্তমান সময়ের অন্যতম দারুণ ইন্সট্রাক্টর তিনিই। নিজের হাতে প্রতিষ্ঠা করেছেন সমাজকল্যাণমূলক সংগঠন ‘স্বপ্নদ্রষ্টা’। অর্ধশতাধিকেরও বেশি সমাজসেবামূলক কার্যক্রমের প্রধান উদ্যোক্তা তিনি। করে যাচ্ছেন স্বাবলম্বী প্রজেক্টও।
নাহিদ আহসানের লেখা প্রথম বই ‘মায়ের নীল শাড়ি’ একটি গল্পগ্রন্থ, প্রকাশিত হয়েছিল পুস্তক প্রকাশনী থেকে। দ্বিতীয় বই ‘বিষাদবাড়ি’ এবং তৃতীয় বই ‘মেঘজীবনের গল্প’ প্রকাশিত হয়েছে জ্ঞানকোষ প্রকাশনী থেকে। গল্প কিংবা উপন্যাস — মানুষের প্রশংসা পেয়েছেন সমগ্র দেশ থেকেই। নাহিদ আহসান যেন জীবনের গল্প বলে চলেন। লিখে যান সাধারণ মানুষের অব্যক্ত সব গল্প।
লিখালিখি, কথা বলা কিংবা নেতৃত্ব দেয়া—সবদিকেই সমানতালে পারদর্শী বর্তমান সময়ের অন্যতম জনপ্রিয় তরুণ লেখক নাহিদ আহসান। সবশেষে তিনি জানান, ‘মানুষের ভালোর জন্য কাজ করে যাবার এক প্রচণ্ড স্বপ্ন নিয়ে বেঁচে আছি। মানুষ ভালোবাসবে, এটুকুই চাই। দুজন-চারজন মানুষ আমার ভালো কাজগুলো অনুসরণ করবে, এইটুকুনই। সত্যি বলতে এরচেয়ে বেশি কিছু চাওয়ার নেই। তবে সবাই যে পরিমাণ ভালোবেসে যাচ্ছে—তা অবাক করার মতো। আমার লেখা, কথা, কাজ পছন্দ করা মানুষগুলোকে ভীষণ ধন্যবাদ জানাই।’