ইউক্রেনে হামলার শাস্তি হিসেবে এবার রাশিয়ার সোনা আমদানি নিষিদ্ধ করছে যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান এবং কানাডা। রবিবার ব্রিটেনের সরকারি এক বিবৃতিতে রাশিয়ার সোনা আমদানির ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপের এই তথ্য জানানো হয়েছে।
জার্মানিতে বিশ্বের শিল্পোন্নত দেশগুলোর জোট জি-৭ এর নেতাদের বৈঠকের আগে ব্রিটেনের সরকারের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাশিয়ার উত্তোলিত নতুন অথবা পরিশোধিত সোনার ওপর শিগগিরই এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে।
তবে এই নিষেধাজ্ঞা আগে রপ্তানি করা রাশিয়ার সোনার ওপর প্রভাব ফেলবে না বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
গত বছর রাশিয়া ১৫ দশমিক ৪৫ বিলিয়ন ডলার মূল্যের স্বর্ণ রপ্তানি করেছিল। সম্প্রতি দেশটির ধনকুবেররা পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞার আর্থিক প্রভাব কমাতে বুলিয়ন (সোনা-রুপার বাট) কিনতে শুরু করেছেন।
বিবৃতিতে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন বলেছেন, ‘আজ আমরা যেসব পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছি তা সরাসরি রাশিয়ার ধনকুবেরদের এবং পুতিনের যুদ্ধযন্ত্রের কেন্দ্রস্থলে আঘাত করবে। পুতিনের সরকারের অর্থায়নে ব্যাঘাত ঘটাতে হবে। যুক্তরাজ্য এবং আমাদের মিত্ররা ঠিক তাই করছে’।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, জি সেভেনের সদস্য হিসেবে জার্মানি, ফ্রান্স এবং ইতালিও এই নিষেধাজ্ঞায় যোগ দেবে।
লন্ডন সোনার একটি প্রধান বৈশ্বিক বাণিজ্য কেন্দ্র। ফলে যুক্তরাজ্য সরকার বলছে যে, এই নিষেধাজ্ঞা পুতিনের যুদ্ধ তহবিল সংগ্রহের সক্ষমতা ব্যাপকভাবে কমাবে।
গত ২৪ ফেব্রুয়ারি রাশিয়া ইউক্রেনে হামলার শুরু করার পর থেকে পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার ধনী ব্যক্তি, ব্যাংক, ব্যবসা এবং রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানকে লক্ষ্য করে বিভিন্ন ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য দেশগুলো এ পর্যন্ত এক হাজারেরও বেশি রাশিয়ান ব্যক্তি এবং ব্যবসার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে।
সোনা আমদানির ওপর এই নিষেধাজ্ঞার ফলে রাশিয়ার প্রায় ১৩.৫ বিলিয়ন পাউন্ড মূল্যের রপ্তানি বাণিজ্য ব্যাহত হবে। ফলে পুতিনের জন্য যুদ্ধের খরচ যোগানো আরও কঠিন হয়ে উঠবে।
যুক্তরাজ্য বলেছে, স্বর্ণ আমদানির ওপর এই নিষেধাজ্ঞা শীঘ্রই কার্যকর হবে। আগামী সপ্তাহে সংসদে এ বিষয়ে আইন করা হবে।