বিএনপি কার্যালয়ে চাল, ডাল, খাবার-দাবারের বস্তার মধ্যে ককটেল নিয়ে রেখেছে এমন খবরের ভিত্তিতে সেখানে নাশকতাবিরোধী অভিযান চালানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) নয়াপল্টনে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
এর আগে, বিকেলে পুলিশের একটি দল বিএনপি কার্যালয়ে প্রবেশ করে তল্লাশি চালায়। সেখান থেকে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভী, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, কাদির ভূঁইয়া জুয়েলসহ অন্তত ২০০ জনকে আটক করা হয়েছে। বর্তমানে বিএনপি কার্যালয়ের সামনের রাস্তাসহ পল্টন এলাকায় বর্তমানে হাজারেরও বেশি পুলিশ সদস্য অবস্থান করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ‘বিনা উসকানিতে বিএনপির লোকজন পুলিশের ওপর হামলা চালালে বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য আহত হন।’
১০ ডিসেম্বর বিএনপির বিভাগীয় গণসমাবেশ প্রসঙ্গে ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, ‘আমরা তাদের সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সমাবেশের অনুমোদন দিয়েছি। তারা হয় সোহরাওয়ার্দীতে যাবে, মিরপুর কালশী আছে, ইজতেমা মাঠে যেতে পারেন, পূর্বাচল বাণিজ্য মেলার মাঠে যেতে পারেন।’
‘১০ লাখ লোক নিয়ে পল্টনে সমাবেশ করার কোনো জায়গা নেই। জনদুর্ভোগের দায়িত্ব এবং জননিরাপত্তা যদি বিঘ্নিত হয়, তার দায়িত্ব নিতে আমরা রাজি না,’ যোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপির রাজনীতি করার যে অধিকার, আইনের মধ্যে থেকে তারা করবেন এটা আমরা বিশ্বাস করি। আইনের মধ্যে থেকেই তারা জনদুর্ভোগ কমিয়ে সমাবেশ করবেন, আমাদের পক্ষ থেকে আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করব।’