সোমবার (১৫ সেপ্টেম্বর) ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ট্রাম্প বলেন, ‘নেতানিয়াহু আর কাতারে হামলার নির্দেশ দেবেন না। কাতার আমাদের খুবই ভালো মিত্র। অনেকেই এটি জানেন না, কিন্তু তিনি (নেতানিয়াহু) ভবিষ্যতে কখনো কাতারে হামলা করার নির্দেশ দেবেন না। এখন থেকে তিনি কাতারের সঙ্গে মিলেমিশে চলবেন।’
গত ৮ সেপ্টেম্বর ইসরায়েলি বিমান বাহিনী কাতারে আশ্রয়প্রাপ্ত হামাসের শীর্ষ নেতাদের লক্ষ্য করে দোহার একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে হামলা চালায়। এই হামলার মূল লক্ষ্য ছিল হামাসের বর্তমান শীর্ষ নির্বাহী খলিল আল হায়া এবং গোষ্ঠীটির অন্যান্য জ্যেষ্ঠ নেতা। মাত্র ১৫ মিনিট স্থায়ী হওয়া সেই অভিযানে দোহায় হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট পাঁচজনসহ মোট ছয়জন নিহত হলেও সৌভাগ্যবশত বেঁচে যান খলিল আল হায়া এবং হামাসের হাইকমান্ডের সদস্যরা। এই ঘটনায় বিশ্বের প্রায় সব দেশ ইসরায়েলের নিন্দা জানায়।
এদিকে, হামলার কয়েক ঘণ্টা পর ৯ সেপ্টেম্বর এক ব্রিফিংয়ে হোয়াইট হাউসের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট দাবি করেছিলেন যে, কাতারকে সম্ভাব্য ইসরায়েলি হামলার ব্যাপারে আগেই সতর্ক করা হয়েছিল। ব্রিফিংয়ে লিভিট বলেছিলেন, ‘ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এই হামলার ব্যাপারে আগে জানিয়েছিলেন।
নেতানিয়াহু বলেছিলেন, তিনি শান্তি স্থাপন করতে চান এবং তা শিগগিরই চান। তাই আমাদের কাছে আগে থেকেই এই হামলার খবর ছিল। নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলার পর তাৎক্ষণিকভাবে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প স্টিফ উইটকফের মাধ্যমে দোহাকে আসন্ন হামলার ব্যাপারে সতর্কবার্তা দিয়েছিলেন। পরে কাতারে অবস্থিত মার্কিন সেনাঘাঁটি থেকেও দোহাকে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছিল।’ তবে সোমবার ওভাল অফিসে এক্সিওস-এর একজন সাংবাদিক ট্রাম্পকে এ ব্যাপারে প্রশ্ন করলে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘না, তারা আমাকে আগে কিছু জানায়নি। আপনি হামলার তথ্য যেভাবে পেয়েছেন, আমিও ঠিক সেভাবেই পেয়েছি।’
সূত্র: এনডিটিভি