ঢাকা , শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
কাপ্তাইয়ে জামায়াতে ইসলামী’র গণসংযোগ ও পথসভা অনুষ্ঠিত কাপ্তাই থেকে ভোটাধিকার হরণকারীদের সংস্কার হয়নি নির্বাচনে কারও পক্ষে বেআইনি নির্দেশনা দেব না: সিইসি খাগড়াছড়িতে চলছে সকাল-সন্ধ্যা সড়ক অবরোধ মহাসচিবের এলাকায় ধানের শীষে ভোট দিলে উন্নয়ন হবে: সদর উপজেলা বিএনপি সভাপতি আব্দুল হামিদ ‘আই লাভ মুহাম্মদ’ স্লোগানে উত্তাল উত্তরপ্রদেশ, ভারতজুড়ে বিক্ষোভ-প্রতিবাদ ট্রাম্পের সংবর্ধনায় ড. ইউনূস ও তার কন্যা রাণীশংকৈলে পিআর পদ্ধতিসহ ৫ দফা দাবিতে জামায়াতে ইসলামীর মিছিল- সমাবেশ। প্রেমিকের সাথে পালিয়েছে স্ত্রী, রাগে হেলিকপ্টারে নতুন বউ আনলেন স্বামী ফেব্রুয়ারিতেই নির্বাচন, নাগরিকবান্ধব সংস্কারও চালিয়ে যাচ্ছি- জাতিসংঘে প্রধান উপদেষ্টা

কাপ্তাই থেকে ভোটাধিকার হরণকারীদের সংস্কার হয়নি

মো. জয়নাল আবেদীন, কাপ্তাই প্রতিনিধি

জনগণের ভোটাধিকার হরণের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত রয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ের সাধারণ মানুষ বলছেন, পতিত আওয়ামী সরকারের মদতপুষ্টরা এখনো স্ব স্ব কর্মস্থলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। কাপ্তাইয়ের ইউপি চেয়ারম্যানরা নৌকা প্রতীক নিয়ে এখনো উপজেলা আইনশৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভায় অংশ নিচ্ছেন এবং প্রভাব বিস্তার করে মতামত ও সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন—এমন অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।

এ অবস্থায় আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামীতে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে। সচেতন মহল মনে করছেন, ভোট ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গেল ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পরও কিছু আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তা ও কর্মচারী পরিস্থিতি মেনে নিতে পারেননি। সরকারি দপ্তরগুলোতে দায়িত্ব পালনে অনীহা দেখা দিয়েছে। সকাল ৯টায় অফিসে হাজির হওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ কর্মকর্তা সকাল ১১টায় অফিসে আসেন এবং দুপুর ২টার মধ্যে অফিস ত্যাগ করেন। তাছাড়া, কর্মস্থলে না থেকেও তারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন এবং সরকারি বাসাভাড়ার টাকা পুরোপুরি নিচ্ছেন।

এমনকি, কাপ্তাই উপজেলায় আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী এখনো নীরবে সংগঠিত হচ্ছেন এবং গোপনে বৈঠক করছেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে। তাদের লক্ষ্য—পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হলে পুনরায় ক্ষমতায় ফেরা।

বিশেষজ্ঞ মহল বলছেন, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৩ সালের দিনের ভোট রাতে করে দেওয়ার অভিযোগে যাদের নাম এসেছিল, তাদের অধিকাংশ এখনো কাপ্তাইয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। যদি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হয় এবং এই ব্যক্তিদের অপসারণ না করা হয়, তবে ২০২৬ সালের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন করা কঠিন হতে পারে।

এছাড়াও, কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাবেক আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এখনো সক্রিয়। তাদের মধ্যে ২০-৩০ জন রয়েছেন যারা ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এক বছর পার হলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রম দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে পারেনি—ফলে ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ কাটছে না।

সচেতন মহল মনে করছে, এখনই যদি এসব চিহ্নিত কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তবে ভবিষ্যতে কাপ্তাইকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র আরও তীব্র হতে পারে। তাই ভোটাধিকার রক্ষায় এবং গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখতে সরকার ও প্রশাসনের জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

ট্যাগ :

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ১২:০৭:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫
৫০৫ Time View

কাপ্তাই থেকে ভোটাধিকার হরণকারীদের সংস্কার হয়নি

আপডেটের সময় : ১২:০৭:৩৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

জনগণের ভোটাধিকার হরণের ষড়যন্ত্র এখনো অব্যাহত রয়েছে। তৃণমূল পর্যায়ের সাধারণ মানুষ বলছেন, পতিত আওয়ামী সরকারের মদতপুষ্টরা এখনো স্ব স্ব কর্মস্থলে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। কাপ্তাইয়ের ইউপি চেয়ারম্যানরা নৌকা প্রতীক নিয়ে এখনো উপজেলা আইনশৃঙ্খলা ও সমন্বয় সভায় অংশ নিচ্ছেন এবং প্রভাব বিস্তার করে মতামত ও সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন—এমন অভিযোগ রয়েছে স্থানীয়দের।

এ অবস্থায় আশঙ্কা করা হচ্ছে, আগামীতে জনগণের ভোটাধিকার প্রয়োগ আরও কঠিন হয়ে উঠতে পারে। সচেতন মহল মনে করছেন, ভোট ও গণতন্ত্রবিরোধী শক্তিকে চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, গেল ৫ আগস্ট আওয়ামী সরকারের পতনের পরও কিছু আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তা ও কর্মচারী পরিস্থিতি মেনে নিতে পারেননি। সরকারি দপ্তরগুলোতে দায়িত্ব পালনে অনীহা দেখা দিয়েছে। সকাল ৯টায় অফিসে হাজির হওয়ার কথা থাকলেও অধিকাংশ কর্মকর্তা সকাল ১১টায় অফিসে আসেন এবং দুপুর ২টার মধ্যে অফিস ত্যাগ করেন। তাছাড়া, কর্মস্থলে না থেকেও তারা সরকারি সুযোগ-সুবিধা ভোগ করছেন এবং সরকারি বাসাভাড়ার টাকা পুরোপুরি নিচ্ছেন।

এমনকি, কাপ্তাই উপজেলায় আওয়ামী লীগের আস্থাভাজন কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী এখনো নীরবে সংগঠিত হচ্ছেন এবং গোপনে বৈঠক করছেন বলে গোয়েন্দা সূত্রে জানা গেছে। তাদের লক্ষ্য—পরিস্থিতি অস্থিতিশীল হলে পুনরায় ক্ষমতায় ফেরা।

বিশেষজ্ঞ মহল বলছেন, ২০১৪, ২০১৮ এবং ২০২৩ সালের দিনের ভোট রাতে করে দেওয়ার অভিযোগে যাদের নাম এসেছিল, তাদের অধিকাংশ এখনো কাপ্তাইয়ে বহাল তবিয়তে রয়েছেন। যদি দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া না হয় এবং এই ব্যক্তিদের অপসারণ না করা হয়, তবে ২০২৬ সালের নির্বাচন সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষভাবে আয়োজন করা কঠিন হতে পারে।

এছাড়াও, কাপ্তাইয়ের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে সাবেক আওয়ামীপন্থী কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা এখনো সক্রিয়। তাদের মধ্যে ২০-৩০ জন রয়েছেন যারা ছাত্রলীগ, যুবলীগ এবং আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী ছিলেন। এক বছর পার হলেও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সংস্কার কার্যক্রম দৃশ্যমান অগ্রগতি দেখাতে পারেনি—ফলে ভোটারদের মধ্যে উদ্বেগ কাটছে না।

সচেতন মহল মনে করছে, এখনই যদি এসব চিহ্নিত কর্মকর্তা-কর্মচারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না হয়, তবে ভবিষ্যতে কাপ্তাইকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র আরও তীব্র হতে পারে। তাই ভোটাধিকার রক্ষায় এবং গণতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখতে সরকার ও প্রশাসনের জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।