নিজস্ব প্রতিবেদক: আজ বুধবার, ১০ই অগাস্ট ২০২২ইং মঙ্গলবার সকাল থেকেই কুড়িগ্রাম জেলার বিভিন্ন সংগঠনের পক্ষ থেকে সামাজিক গণমাধ্যমে নেতা-কর্মীদের ভালোবাসা ও শুভেচ্ছা বার্তায় ভাসতে থাকেন যুবলীগ নেতা হাজী দুলাল।
কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে দুর্নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদী ও আপোষহীন কণ্ঠস্বর যুবলীগের আহ্বায়ক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব এডভোকেট রুহুল আমিন দুলাল। তিনি একজন পরিছন্ন রাজনীতিবিদ। জেলাজুড়ে রয়েছে তার সুনাম। এবং ক্লিনম্যান হিসেবে তিনি সমাজে সমাদৃত। ব্যক্তি জীবনে তিনি উদার মনের মানুষ। কর্মীবান্ধব জনদরদী নেতা।
কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার হিংগনরায় বাসষ্ট্যান্ড পাড়া এলাকায় মরহুম সোলায়মান মিয়ার পুত্র আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ রুহুল আমিন দুলাল। তিনি ছাত্র জীবনে শৈশব কাটিয়েছেন কুড়িগ্রামে। তিনি রাজশাহী শিক্ষা বোর্ডের অধীন ১৯৮৪ সনে এসএসসি, ১৯৮৬ সনে এইচএসসি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৯১ সনে বি.এ পাশ করেন। তিনি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় হতে ১৯৯৩ সনে এম.এ এবং ২০০৭ সনে এলএল.বি পাশ করেন।
একটি ঐতিহ্যবাহী পরিবারের সন্তান ছাত্র জীবন থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতির সাথে হাজী দুলাল সক্রিয়ভাবে জড়িত রয়েছেন এবং নিজের দক্ষতা কাজের মাধ্যমে সবার কাছে প্রমাণ করেছেন। তাঁর রাজনৈতিক ক্যারিয়ার থেকে জানা যায়, তিনি ২০০৫-২০১৪ ইং পর্যন্ত কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের সাধারন সম্পাদক, ২০০৩-২০১২ ইং পর্যন্ত কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারন সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে তিনি কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের আহবায়ক, কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য, কুড়িগ্রাম জেলা আইনজীবি সমিতির ক্রীড়া বিষয়ক সম্পাদক, কুড়িগ্রাম পৌর আওয়ামীলীগের সদস্য ও কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী আইনজীবি পরিষদের সদস্য পদে রয়েছেন।
ত্যাগের রাজনীতি বিশ্বাসী এই নেতা মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য রাজনীতি করতে গিয়ে তিনি বহুবার নানাভাবে হয়রানী ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। সাবেক এ ছাত্রলীগ নেতা ২০০৪ সনে বিএনপি পার্টি অফিস পোড়ানো মামলার আসামী, ২০০৬ সনে লগী-বৈঠা দিয়ে শিবির কর্মী হত্যা মামলার আসামী, বিএনপি অফিস ভাংচুর জিয়া ও খালেদার ছবি পোড়ানো মামলার আসামী এবং ২০০৭ সনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুধাসদনের বাস ভবনে মামলা সংক্রান্ত সাক্ষাৎ এবং ২০১০ সনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে মামলা প্রত্যাহার করা হয়।
২০১৬ সালে আলহাজ্ব এডভোকেট মোঃ রুহুল আমিন দুলাল নিজে বাদী হয়ে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ এনে দ্যা ডেইলি স্টার পত্রিকার সম্পাদক মাহফুজ আনাম এর বিরুদ্ধে মামলা করেন। তিনি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, সামাজিক উন্নয়ন ও সেবা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িয়ে আছেন।
জন্মদিনে নেতা-কর্মীদের ভালোবাসায় সিক্ত হয়ে সংগঠনের নেতাকর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের উদ্দেশ্যে সামাজিক গণমাধ্যম ফেসবুক স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন- “আসসালামু আলাইকুম/আদাব। আমার জন্মদিনে যাঁরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন সবাইকে অসংখ্য ধন্যবাদ। দোয়া করবেন যেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে মানুষের পাশে থেকে সততার সহিত কাজ করতে পারি, ইনশাআল্লাহ!”