নিজস্ব প্রতিবেদক: আগামী ২০২৪ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিতব্য দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যেই নির্বাচনী প্রস্তুতি নিচ্ছে। সারাদেশে মোট ৩০০টি সাধারণ আসনের সম্ভাব্য সাংসদ প্রার্থীদের তালিকা শুরু করেছে দলটির শীর্ষ নেতা ও নীতি-নির্ধারকেরা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন, এবারের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৃণমূলের পরিচ্ছন্ন, কর্মীবান্ধব এবং জনপ্রিয় নেতাদের বিষয়ে বিবেচনা করবেন এবং তাদেরই প্রাধান্য দেবেন। যারা অনেকবার নির্বাচন করেছেন, তারা অনেকেই বাদ পড়বেন এবং যারা বিভিন্ন অনিয়ম, অপকর্ম ও দুর্নীতিতে একাকার হয়ে গেছেন, তাদেরকে ব্লাক লিস্টে রেখেছেন হাইকমান্ড। দলীয় তথ্য সূত্রে জানা যায়, যারা ইতিমধ্যে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ পদধারী নেতা ও জনপ্রতিনিধি অদ্যবদি নিযুক্ত আছেন, তারা আগামী সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চাইতে পারবেন না এবং তাদেরকে মনোনয়ন দেওয়া হবে না। সেক্ষেত্রে দলের সবচেয়ে অনুগত, আন্তরিক, উদ্যোগী, পরিশ্রমী, নিষ্ঠাবান, ত্যাগী, কর্মীবান্ধব এবং ক্লিন ইমেজের রাজনৈতিক ব্যক্তিদের মূল্যায়ন করবে আওয়ামী লীগ ও দলীয় হাইকমান্ড।
আর তাই কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক এমপি আলহাজ্ব জাফর আলী বর্তমানে কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং অপরদিকে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, আমান উদ্দিন আহমেদ মঞ্জু কুড়িগ্রাম সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হওয়ায় দলের অন্যান্য নেতাদের মধ্যে জনগণের সেবক তথা এমপি হওয়ার লক্ষ্যে কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের অনেক প্রার্থীদের মাঝেও এখন স্বপ্নের ডানা বেঁধেছে মনোনয়ন তথা নৌকা প্রতিক নিয়ে আগামী সংসদ নির্বাচনে অংশ নেবার।
আর তাই যারা জেলা আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের নেতা কিন্তু জনপ্রতিনিধি নয়, তারা রীতিমতো মাঠে নামতে শুরু করছেন। আবার অনেকেই আছেন আত্মবিশ্বাসেও টইটম্বুর। আওয়ামী লীগের অনেক নেতারাই আছেন, যারা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের চেতনায় রাজনীতি করে আসছেন ও নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন মানুষের কল্যাণে এবং শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একনিষ্ঠভাবে আওয়ামী লীগের সকল কর্মকাণ্ড, সভা, মিছিল-মিটিং, আন্দোলন এবং সংগ্রামে বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করেছেন। যারা রাজনীতি করেছেন ঠিকই কিন্তু কখনো ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোনো রাজনৈতিক ফায়দা লুটেননি। নিঃস্বার্থভাবে আওয়ামী লীগকে ভালবেসে রাজনীতি করেছেন।
সেরকম গুণসম্পন্ন একজন ব্যক্তি হচ্ছেন; কুড়িগ্রাম জেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম সদস্য, কুড়িগ্রাম জেলা যুবলীগের আহবায়ক ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট আলহাজ্ব রুহুল আমিন দুলাল (হাজী দুলাল)। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে নৌকা প্রতীকের মনোনয়ন প্রত্যাশী। প্রার্থী হিসেবে কুড়িগ্রাম-২ আসন থেকে অনেকের নাম আলোচনায় আসলেও জনকল্যাণমূলক উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টা, সাধারণ মানুষের কাছে অধিক গ্রহণযোগ্য হাজী দুলাল এর নাম উঠেছে আলোচনায় ও চায়ের টেবিলে সাধারণ মানুষের যুক্তিতে সবার আগে। বিশেষ করে সামাজিক কর্মকান্ডে ও মানবিক সেবায় তার উজ্জ্বল স্বাক্ষরের কারণে, তিনি যেখানেই যাচ্ছেন সেখানেই দল-মত নির্বিশেষে জনগণের ব্যাপক সাড়া পাচ্ছেন এবং নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসছে ততই জনমত বাড়ছে হাজী দুলালের। জানা গেছে, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে তৃণমূলে তার দলীয় ও সাংগঠনিক অনুগত নেতাকর্মী এবং সমর্থকগোষ্ঠিরা জোর প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন। তিনি কুড়িগ্রাম-২ (কুড়িগ্রাম সদর, ফুলবাড়ী উপজেলা ও রাজারহাট থানা) আসন থেকে নৌকার মাঝি হতে চান।
উল্লেখ্য যে, গত একাদশ সংসদীয় নির্বাচনেও হাজী দুলাল আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন। দলীয় এক তথ্য সূত্রে জানা যায়, গত নির্বাচনে হাজীর ক্লিন ইমেজ, বয়স ও সাংগঠনিক দক্ষতা বিবেচনায় আওয়ামী লীগ মনোনয়ন বোর্ড তাকে ২০৯ নম্বর সিরিয়ালে রাখলেও জাতীয় পার্টির সাথে মহাজোটের কারণে আওয়ামী লীগ আসনটি ছেড়ে দিলে কপাল পোড়ে হাজীর।
আগামী দ্বাদশ সংসদীয় নির্বাচন ও আওয়ামী লীগ মনোনয়ন সম্পর্কিত এক প্রশ্নের জবাবে হাজী দুলাল বলেন, “আমি আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন চাইবো। আর যদি আমি মনোনয়ন পাই তবে, কুড়িগ্রাম-২ আসনের সর্বস্তরের জনগণের প্রতি আমার বিশ্বাস আছে এবং মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাকে এই সদর আসনটি শতভাগ উপহার দিতে পারব, ইনশাল্লাহ।”
তিনি আরো বলেন, “আমি যদি আওয়ামী লীগ থেকে মনোনয়ন পাই এবং জনগণ যদি আমাকে ভোট দিয়ে এমপি নির্বাচিত করেন, তবে আমি কুড়িগ্রাম সদর আসনের আওতাধীন সকল নদী ভাঙ্গন রোদে স্থায়ী সমাধান করব এবং জনস্বার্থে প্রয়োজনীয় ব্রিজ স্থাপন সহ প্রতিটি কাঁচা রাস্তা পাকা করনের মধ্য দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থার ব্যাপক উন্নয়ন’এর প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন হাজী দুলাল।”