কুষ্টিয়া প্রতিনিধিঃ
কুষ্টিয়ার কুমারখালী পান্টি ডিগ্রি কলেজের চতুর্থ শ্রেণির অসুস্থ কর্মচারীর অষ্টম শ্রেণি পাশের সনদ জাল অভিযোগে জোরপূর্বক অবসরে দেবার প্রচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে। ব্রেইন স্ট্রোক জনিত কারণে অসুস্থ মালিকে অবসরে দিয়ে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নতুন নিয়োগ দেবার উদ্দেশ্য অধ্যক্ষ এই হীন প্রচেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। সোমবার দুপুরে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিষয়টি তদন্ত করেছেন।
ভুক্তভোগী কর্মচারী নাদের হোসেন জানান, তিনি ১৯৯৫ সালে পান্টি কলেজে মালি পদে যোগদান করেন। তিনি ২ বছর আগে ব্রেইন স্ট্রোক করার পর থেকে আগের মতো স্বাভাবিক কাজ করতে পারেননা। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বজলুল বায়োজিদ (ভোলন) দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে তার অষ্টম শ্রেণি পাশের সার্টিফিকেট জাল অভিযোগে অবসর নিতে বলেন। তিনি রাজি নাহলে বিভিন্ন ভাবে মানুষিক চাপ সৃষ্টি এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। অধ্যক্ষ ভোলন গত ৬ আগষ্ট হাজিরা খাতায় সই করতে না দিয়ে তাকে কলেজ থেকে বের করে দেন। তিনি আরো জানান, তার সার্টিফিকেট জাল অভিযোগে ভোলন উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসে অভিযোগ করলে শিক্ষা অফিস থেকে তদন্ত করা হয়। পূণরায় অধ্যক্ষ তার বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট সনদ জাল অভিযোগ দিলে সোমবার উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) তদন্ত করেছেন । অসুস্থ ৫৮ বছর বয়সী নাদের হোসেন চাকরির শেষ সময় পর্যন্ত স্বপদে বহাল থাকার আকুতি জানান।
এ বিষয়ে পান্টি ডিগ্রি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ বজলুল বায়োজিদ (ভোলন) বলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস বিষয়টি তদন্ত করে সিদ্ধান্ত নিবেন। এ বিষয়ে তার কোন বক্তব্য নেই।
উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুর রশিদ জানান, বিষয়টি তদন্তাধীন। আগেই কোন কিছু বলা যাচ্ছেনা।
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহীদুল ইসলাম জানান, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে দরখাস্তের প্রেক্ষিতে প্রাথমিকভাবে তদন্ত করা হয়েছে। বিষয়টি যাচাই-বাছাইয়ের পর সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।