ঢাকার জাতীয় প্রেস ক্লাব চত্বরে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে আত্মহননকারী সাবেক ছাত্রলীগ কুষ্টিয়া জেলা সভাপতি গাজী আনিসের দাফন সম্পন্ন হয়েছে।
মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলার পান্টি ইউনিয়নের পান্টি গ্রামে স্থানীয় কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেন নিহতের বড় ভাই নজরুল ইসলাম।
মঙ্গলবার রাতে গাজী আনিসের মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌছালে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
এ সময় শোকবিহ্বল আনিসের আত্মীয়-স্বজনসহ স্ত্রী জুমিনা রহমান স্বপ্না ও তিন কন্যার বুকফাটা আহাজারিতে বাতাস ভারি হয়ে উঠে।
আনিসের বড় মেয়ে এইচএসসি পরীক্ষার্থী মেধা রহমান আঁচল তার বাবাকে আত্মহননের পথে ঠেলে দেয়ায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবির পাশাপশি প্রয়াত বাবার পাওনা টাকাগুলো ফেরত পাওয়ার দাবি করেন।
উল্লেখ্য, গত সোমবার বিকেলের দিকে জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় আনিসুর নিজের গায়ে আগুন লাগিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। পরদিন সকালে ঢাকার শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।
গাজী আনিসুর কুমারখালীর পান্টি গ্রামের মৃত ইব্রাহীম হোসেনের ছেলে। তিনি ঠিকাদারি ব্যবসা করতেন বলে জানা গেছে।
গাজী আনিসুরের মৃত্যুর পর মঙ্গলবার দুপুরে হেনোলাক্স কোম্পানির চেয়ারম্যান নুরুল আমিন ও তার স্ত্রী ফাতেমা আমিনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যার প্ররোচনার অভিযোগ এনে তার (আনিসুর) ভাই নজরুল ইসলাম মামলা করেছেন।