কয়েক দিনের টানা বৃষ্টি ও উজানের ঢলে দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে কুড়িগ্রামের সব নদ–নদীর পানি পানি। দুইদিন থেকে দুধকুমার ও ধরলা নদীর পানি বইছে বিপৎসীমার ওপর দিয়ে। জেলার নিম্নাঞ্চল তলিয়ে যাওয়ায় প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন।
লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে উঁচু স্থানে আশ্রয় নিচ্ছেন। ঘর-বাড়ি পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় উপদ্রুত অঞ্চলে বিশুদ্ধ পানির সংকট দেখা দিয়েছে।
কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) জানায়, শনিবার ( ১৫জুলাই) সকাল ৯টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি নুনখাওয়া পয়েন্টে ০১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২২ সেন্টিমিটার, চিলমারী পয়েন্টে ১৯ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২৪ সেন্টিমিটার ও তিস্তা কাউনিয়া পয়েন্টে ৫ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
অন্যদিকে, ধরলা সদর পয়েন্টে ১২ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ২১ সেন্টিমিটার ও দুধকুমার পাটেশ্বরী পয়েন্টে ৯ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৪১ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
কুড়িগ্রাম পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, ধরলা ও দুধকুমারের পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে বইছে। বন্যা পূর্বাভাস অনুযায়ী আগামী ১৮-১৯ জুলাইয়ের দিকে ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপৎসীমার খুব কাছাকাছি পৌঁছাতে পারে। এতে জেলার নিম্নাঞ্চলগুলোতে বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সাইদুল আরিফ জানান, স্বল্পমেয়াদি বন্যা মোকাবেলায় সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে প্রশাসন। প্রয়োজনীয় শুকনো খাবার মজুত ও আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত আছে।