নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনের উপনির্বাচন বন্ধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বুধবার (১২ অক্টোবর) আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে গাইবান্ধা-৫ আসনের ভোট পর্যবেক্ষণের মনিটরিং সেলে বসে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল নির্বাচন বন্ধের এ ঘোষণা দেন।
সিইসি বলেন, ‘ভোটের পরিবেশ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভোটকেন্দ্রে অনেক অনিয়ম দেখা গেছে।
গোপন কক্ষে একাধিক লোক প্রবেশ করেছে। পোলিং এজেন্টরা আচরণবিধি লঙ্ঘন করে একই পোশাক পরেছে। কিছু কিছু কেন্দ্রে সিসি ক্যামেরার সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
এর আগে আজ বুধবার সকাল ৮টা থেকে গাইবান্ধা-৫ (ফুলছড়ি-সাঘাটা) আসনে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ শুরুর পর থেকেই নির্বাচন কমিশন ভবনে সিসি ক্যামেরা কন্ট্রোল রুম থেকে ভোট পর্যবেক্ষণ করেন সিইসিসহ তিন কমিশনার। এ সময় সিসি ক্যামেরায় বিভিন্ন কেন্দ্রের অনিয়ম দেখা গেলে তাৎক্ষণিক ওই কেন্দ্রে ভোট স্থগিত করে দেওয়া হয়। এভাবে ৫১টি কেন্দ্রের স্থগিত করা হয়। অবশেষে পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসি।
এদিন দুপুরে উপনির্বাচনে ক্ষমতাসীন দলের প্রার্থী মাহমুদ হাসান রিপন বাদে সবাই ভোট বর্জন করেন। তবে ভোট নিয়ে সকাল থেকেই সরব ছিল সিইসি। উপ-নির্বাচন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে বলে জানান সিইসি কমিশনার। সঠিকভাবে ভোট না হলে নির্বাচন স্থগিত করার কথাও জানান কাজী হাবিবুল আউয়াল।
সকালে সিসি ক্যামেরায় ভোটের পরিস্থিতি দেখে সিইসি বলেছিলেন, ‘ভোট নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছে। আমরা স্বচক্ষে গোপন কক্ষে অবৈধভাবে প্রবেশ করে ভোট দিয়ে দিতে দেখেছি। তাই ভোটকেন্দ্র বন্ধ করা হয়েছে। ’
গাইবান্ধা-৫ আসনটি ফুলছড়ি ও সাঘাটা উপজেলা নিয়ে গঠিত। এর মধ্যে সাঘাটা উপজেলার ১০টি ও ফুলছড়ি উপজেলার সাতটিসহ মোট ১৭টি ইউনিয়ন নিয়ে মিলে ৩ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪৩ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ১ লাখ ৬৯ হাজার ৫৮৩ জন এবং নারী ভোটার ১ লাখ ৭০ হাজার ১৬০ জন।
বাংলা ৫২ নিউজ/নাহিদ