সাতকানিয়া প্রতিনিধি ,মোহাম্মদ হোছাইন:
চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় কোরবানীর পশু মোটা-তাজা করণে শেষ মুহুর্তের সময় ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে পার করছেন খামারীরা। আসন্ন কোরবানীর ঈদ উপলক্ষে বিক্রির জন্য ৪২ হাজার ১৬৯টি পশু মোটা-তাজা করণ প্রক্রিয়ায় রয়েছে এলাকার খামার সমুহে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ তথ্য জানান।
এসব পশুর মধ্যে রয়েছে ২১ হাজার ৪০৩টি ষাড়, ৭৮৫৫ টি বলদ,১৩৫৩টি গাভী,২৫৪২টি মহিষ, ও ৭ হাজার ৫৪৯টি ছাগল ও ১৪৬৭ভেড়া।
এলাকায় সরেজমিন ঘুরে ও উপজেলা পশু অফিস সুত্রে জানাযায়, গেল বছরের কোরবানীর চেয়ে এবার অনেক বেশী পশু মোটা-তাজা করণ করা হচ্ছে এলাকায়। উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ জানান, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও এলাকার কোরবানীর চাহিদার অধিক পশু বিক্রির জন্য প্রেরণ করা হবে চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন কোরবানীর পশুর হাটে।
অপরদিকে, সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়ার ২ নং ওয়ার্ডের ফজল করিম,এনামুল হক ও ৩ নং ওয়ার্ডের মো,সাদেক নামের খামার মালিকরা জানান, ভাল লাভের আশায় কোরবানীর বাজারে বিক্রির জন্য দেশীয় পদ্ধতিতে পশু মোটা-তাজা করণ করা হচ্ছে তাহার খামারে।এখন পরিচর্যার শেষ সময় পার করছি।ইতিমধ্যে খামার থেকে কয়েকটি গরু বিক্রি করেছি।মোটামুটি ঐসব গরুতে লাভ ও হয়েছে।তাহারা আরও জানান, পশুখাদ্যের দাম চড়া। তাই পশু মোটা-তাজা করণে খরচও বেড়ে গেছে। ৫০ কেজির প্রতিবস্তা খাদ্যের মূল্যে ৪শতাধিক টাকা বেড়ে গেছে।তিনি আরো জানান, খামারী ছাড়াও অনেক গৃহস্থ ১টি বা ২টি করে গরু মোটা-তাজা করে থাকেন কোরবানীর পশুর হাটে বিক্রির জন্য।
আবার লোকমুখে শুনা যাচ্ছে, কোরবানী উপলক্ষে পশুর হাটে বিক্রির জন্য অসাধু বেপারীরা মিয়ানমার হতে গরু নিয়ে আসেন। প্রশাসনের দৃষ্টি ফাঁকি দিয়ে বেপারীরা বাংলাদেশ সীমানা পেরিয়ে নিয়ে আসে গরু। ফলে, খামারীদেরকে বিপাকে পড়তে হবে পালিত পশু নিয়ে।
চলতি বছরের গত মে মাসে পার্বত্য এলাকা নাইক্ষ্যংছড়ি ও আলীকদম সীমানা পেরিয়ে মায়ানমার হতে বেশ কিছু গরু আনার পথে আটক হয় বিজিবির টহলদলের হাতে।
সাতকানিয়া উপজেলার খামারীসহ গৃহস্থদের অভিযোগ, এলাকায় গরু চুরি হচ্ছে। কিছুদিন পূর্বে কয়েক গৃহস্থের গোয়ালঘর থেকে গরু নিয়ে গেছে চোরেরা। ঢেমশা ইউনিয়ন থেকেও গরু চুরি হয়েছে। তাই, খামার মালিক ও গৃহস্থরা আতংকে রাতযাপন করছে।
সাতকানিয়া উপজেলা প্রানিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মো,আবুল কালাম আজাদ বলেন,আসন্ন ঈদ উল আযহা কে সামনে রেখে এলাকার সমস্ত খামারী ও মৌসুমী গরু ব্যাবসায়ীদের সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও সেবা প্রদান করে যাচ্ছি।