আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় বঙ্গবন্ধু চত্বরে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় আইন ১৯৭৩ লঙ্ঘন করে এবং প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও বাংলা ও আইন বিভাগসহ বিভিন্ন বিভাগে শিক্ষক নিয়োগে ব্যাপক অনিয়ম ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ এনে উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ৩ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন করেছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) শিক্ষক সমিতি।
কর্মসূচিতে চবি শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হক বলেন, “চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চৌদ্দ সদস্যের একটা সিন্ডিকেট, সেখানে একজনও শিক্ষক প্রতিনিধি ছিল না। আপনাকে বহুবার বলে, মানববন্ধন করে আপনি নির্বাচন দিয়ে চারজনকে পূর্ণ করেছেন, আরও চারটা পদ খালি থেকে গেল। তার মানে হলো আপনার সিন্ডিকেট গ্রহণযোগ্য নয়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি মনে করে যতক্ষণ পর্যন্ত সিন্ডিকেটে আপনার একাডেমিক কাউন্সিল প্রতিনিধি অবশিষ্ট আছে সে নির্বাচন হতে হবে’। অতএব আপনাকে সহ্য করার ক্ষমতা অনেক আগেই শেষ হয়ে গেছে। তাই আমরা আপনার অবিলম্বে পদত্যাগ চাই।”
অনশন কর্মসূচিতে উপাচার্যের বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ এনে অধ্যাপক আব্দুল হক এমন মন্তব্য করেন।
এসময় লোকপ্রশাসন বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী এস এম খসরুল আলম কুদ্দুসী বলেন, ‘এখানে প্রফেসর সেকেন্দর চৌধুরী আছেন, প্রফেসর মোস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকী আছেন গত ৪০-৬০ বছরের ইতিহাসে শিক্ষক সমিতিকে কোনো রেজিস্ট্রার এভাবে অ্যাড্রেস করেছে কি-না আমি আপনারা অনুসন্ধান করুন। যেটা গিলতে পারবেন না, হজম করতে পারবেন না এ ধরনের কাজ আপনারা কেন করেন?’।
প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মু.গোলাম কবীর আইন বিভাগের নির্বাচনী বোর্ড নিয়ে বলেন, “প্রফেসর আব্দুল্লাহ ফারুক, উনি আইনের কথা কলে নীতির কথা বলে কিভাবে সাইন করলেন। আপনি কত অনিয়ম, কত দুর্নীতি করেছেন। আমি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়কে ধারণ করি, এখানে কোনো অনিয়ম, কোনো দুর্নীতি হলে আমার লজ্জা লাগে।”
নাজমুল হাসান সোহাগ
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়
মোবাইল: 01706232437