পূর্ব শত্রুতার জের ধরে চাঁদপুরে বিষ্ণুদী রোডের ১৫ নং ওয়ার্ডের মাতব্বর বাড়িতে শহীদ মাতাব্বরের বসত বাড়িতে কয়েক দফা হামলা করেছে তার ভাতিজা কিশোর গ্যাং লিডার মেহেদী। এ নিয়ে পরপর দুইবার হামলা করা হয়েছে। গত ১৮ অক্টোবর মৃত বারেক মাতাব্বরের ছেলে কিশোর গ্যাং মেহেদী তার বড় চাচা শহিদ মাতাব্বরের বাসায় হামলা করে দরজা, জানালা ভাঙচুর করে এবং বসত বাড়ি থেকে মোবাইল ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ঘটনার সময় শহিদ মাতাব্বর ও তার দুই ছেলে শহরের বিষ্ণুদী রোডে তাদের দোকানে ছিলেন। এ ঘটনায় শহিদ মাতাব্বর খবর পেয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। ১৯ অক্টোবর আবারো সাত/আটজন জন মিলে শহীদ মাতাব্বরের বিষ্ণুদী রোডের দোকানে হামলা চালায়ি শহিদ মাতাব্বরের ছেলে সোহাগকে আহত করে। এ সময় স্থানীয় মানুষ ও অন্যান্য দোকানিরা মেহেদীকে ছাড়িয়ে নেয়। কিছুক্ষণ পরেই মেহেদী তার দলবল নিয়ে রাত আনুমানিক ৯:৩০ এর দিকে আবারো ঘরে হামলা চালায়। এ সময় ঘরের বাকি জানালাগুলোও ভাঙচুর করে এবং ঘরের ভেতরে প্রবেশ করে লুটপাট চালায়। ঘরে থাকা শহিদ মাতাব্বরের পরিবারের সদস্যরা ভেতরের রুমে যেয়ে আশ্রয় নেয়। শহিদ মাতাব্বরের স্ত্রী রহিমা বেগমকে (বিউটি) সামনে পেয়ে কিশোর গ্যাং মেহেদী এলোপাতাড়ি কিল ঘুষি মারতে থাকে ও দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে মুখমন্ডলে আঘাত করে। আঘাতের ফলে রহিমা বেগমের (বিউটি) মুখমন্ডল কেটে যায় ও ফিনকি দিয়ে রক্ত বের হতে থাকে। শহিদ মাতাব্বরের মেয়ে শারমিন ৯৯৯ এ কল দিয়ে পুলিশের আশ্রয় চায়। কিছুক্ষণের মধ্যেই চাঁদপুর মডেল থানার পুলিশের গাড়ি ঘটনাস্থলে এসে অবস্থা পর্যবেক্ষণ করে। শহিদ মাতাব্বরের স্ত্রী আহত রহিমা বেগম ও তার বড় ছেলে সোহাগ এখন চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ থেকে জানা যায়, ধারালো অস্ত্রের আঘাতে মুখমন্ডল থেকে অনেক রক্তকরণ হয়েছে যার কারণে ১২ টি সেলাই দিতে হয়েছে। হামলার ঘটনায় ইন্ধনের অভিযোগ রয়েছে মেহেদীর মা মরিয়ম বেগমের বিরুদ্ধেও। এর আগেও চাঁদাবাজি ও ছিনতাইয়ের অভিযোগে বিভিন্ন ঘটনার প্রেক্ষিতে মৃত বারেক মাতাব্বরের ছেলে মেহেদীর বিরুদ্ধে থানায় একাধিক অভিযোগ ও মামলাও রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত গ্রেফতার করা হয়নি কিশোর গ্যাং মেহেদী হাসান ও তার পরিবারের কাউকে। ইতিমধ্যে তার বিরুদ্ধে চাঁদপুর কোর্টে আরেকটি মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছেন ভুক্তভোগী শহিদ মাতাব্বরের পরিবার। কিশোর গ্যাং মেহেদীর দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন ভুক্তভোগী পরিবার ও স্থানীয় প্রতিবেশীরা।