একজন সত্যিকারের নেতা জনগণের কল্যাণে কাজ করেন। কিন্তু বর্তমানকালে নেতৃত্ব সম্পর্কে মানুষের ধারণা প্রকৃত নেতৃত্বের থেকে অনেক দূরে। এর মধ্যেই যাঁরা নিজের জীবন উন্নত করতে পারেন- তাঁরাই নেতা। অনুরূপভাবে যিনি মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সেবা দিয়ে তাদের সুখী করতে পারেন- তিনিই নেতা। ১৯৭১ মহান মুক্তিযুদ্ধে আড়াই হাজার বছরের ইতিহাসে বাঙালির স্বাধীনতা ও অর্থনৈতিক মুক্তির স্বপ্ন কেউ দেখাতে পারেনি কিন্তু সেই কাঙ্খিত স্বপ্ন দেখানোর স্বাধ বাস্তবে রুপান্তরিত করতে পেড়েছিলেন বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। একজন নেতা বা নেত্রীকে কথায় ও কাজে কেবল পারফেক্ট হলেই চলবে না, তাঁকে অনুকরণীয় গুণাবলির অধিকারীও হতে হবে।
তাঁর কাছ থেকে মানুষ প্রেরণা পাবে। তিনি হবেন আদর্শস্থানীয়। মানুষ তাঁকে অনুসরণ করবে। তাঁকে দেখে শিখবে, উজ্জীবিত হবে। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তারই সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা সফল ও সুন্দর এবং চমৎকার নেতৃত্বের মহা মানব মানবী এরাই সফল নেতৃত্বের সবচেয়ে বড় উদাহরন। আমরা যদি উন্নয়ন চাই, অগ্রগতি চাই, দারিদ্র্যের বিষবৃত্ত ভাঙতে চাই, তাহলে আমাদের সৎ, দক্ষ, মেধাবী ও সুশিক্ষিত নেতৃত্ব বেছে নিতে হবে। যাঁরা বুঝতে পারবেন দেশের আসল সমস্যা কী, কীভাবে হবে তার সমাধান, সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ কী চায়, কীভাবে তাদের সক্রিয় সমর্থন ও অংশীদারত্বের মাধ্যমে উন্নয়ন ত্বরান্বিত করা যায়। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, অযোগ্য নেতৃত্ব, নীতিহীন নেতা ও কাপুরুষ রাজনীতিবিদদের সাথে কোনোদিন একসাথে হয়ে দেশের কাজে নামতে নেই। তাতে দেশসেবার চেয়ে দেশের ও জনগণের সর্বনাশই বেশি হয়।
পরিশেষে বঙ্গবন্ধুর একটা উক্তি দিয়েই শেষ করতে চাই -আমার দেশবাসীর কল্যাণের কাছে আমার মতো নগণ্য ব্যক্তির জীবনের মূল্যই -বা কতটুকু? মজলুম দেশবাসীর বাঁচার জন্য সংগ্রাম করার মতো মহান কাজ আর কিছু আছে বলিয়া মনে করি না। তাই আমি মনে করি বঙ্গবন্ধু নেতৃত্ব আমাদের সকলকে অনুসরন করে দেশ সেবাই সবাই সবার জায়গা থেকে এগিয়া আসলে এই বাংলা হবে স্বপ্নের সোনার বাংলা ।
লেখকঃএম তমিজ উদ্দিন ভূইয়া সেলিম , কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম আওয়ামী লীগ নেতা,বিশিষ্ট শিল্পপতি ও সমাজসেবক .