জাতীয় পার্টির (জাপা) চেয়ারম্যান হিসেবে গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জি এম কাদের) দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না বলে আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে এ বিষয়ে নিম্ন আদালতে চলমান মামলা আগামী ৯ জানুয়ারির মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন সর্বোচ্চ আদালত।
বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হিসেবে জিএম কাদের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন বলে হাইকোর্টের দেয়া আদেশ বাতিল করেছেন আপিল বিভাগ।
হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে জাপা থেকে বহিষ্কৃত নেতা ও দলটির সাবেক সংসদ সদস্য জিয়াউল হক মৃধা আপিল বিভাগে আবেদন করেছিলেন।
এর আগে নিম্ন আদালতের এক আদেশের বিরুদ্ধে জি এম কাদেরের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ২৯ নভেম্বর হাইকোর্ট রুলসহ স্থগিতাদেশ দিয়েছিলেন।
গঠনতন্ত্র অনুযায়ী, দলের চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরকে কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে নিম্ন আদালতের দেওয়া নিষেধাজ্ঞার আদেশ আগামী ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত স্থগিত করেছিলেন হাইকোর্ট।
হাইকোর্টের আদেশের ফলে জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালনের পথ খুলেছিল। তবে এই আদেশ স্থগিত চেয়ে জিয়াউল হক মৃধা আপিল বিভাগে আবেদন করেন, যা গত ৩০ নভেম্বর চেম্বার আদালতে শুনানির জন্য ওঠে। সেদিন চেম্বার আদালত হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করেন। আবেদনটি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠান। হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত হওয়ায় জি এম কাদেরের দায়িত্ব পালন আটকে যায়।
গত ৪ অক্টোবর জিয়াউল হক মৃধা নিষেধাজ্ঞা চেয়ে মামলাটি করেছিলেন। বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত ৩০ অক্টোবর ঢাকার প্রথম যুগ্ম জেলা জজ আদালত জাপার চেয়ারম্যান হিসেবে জি এম কাদেরের দলীয় কোনো ধরনের সিদ্ধান্ত গ্রহণ ও দায়িত্ব পালন থেকে বিরত রাখতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞার আদেশ দিয়েছিলেন।
পরে এই আদেশ প্রত্যাহার চেয়ে জি এম কাদেরের আবেদন গত ১৬ নভেম্বর খারিজ করে দেন আদালত। এর বিরুদ্ধে জেলা জজ আদালতে আপিল করেছিলেন জি এম কাদের। আপিলের গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানির জন্য ৯ জানুয়ারি দিন রাখা হয়েছিল। এ অবস্থায় শুনানি আগানোর জন্য আবেদন দিয়েছিলেন জি এম কাদের, যা ২৪ নভেম্বর খারিজ হয়। এর বিরুদ্ধে হাইকোর্টে রিভিশন আবেদন করেছিলেন জি এম কাদের।