হাসান আহাম্মেদ সুজন, জামালপুর জেলা প্রতিনিধি।
জামালপুরে নব-নির্মিত চিতা ও শবদেহ স্নানাগারের আলোচনা সভা ও ফিতা কাঁটার মধ্যে দিয়ে শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে।
১৮ সেপ্টেম্বর রবিবার দুপুরে শহরের স্থানীয় ফেরীঘাট ব্রিজ সংলগ্ন নবগঠিত জামালপুর মহাশ্মশান ঘাট পরিচালনা পরিষদের উদ্যোগে নব-নির্মিত চিতা ও শবদেহ স্নানাগারের শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভা – ফিতা কাঁটার অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
জামালপুর মহাশ্মশান ঘাট পরিচালনা পরিষদের সভাপতি সুবীর বসাকের সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক প্রণব বসাক সুবলের সঞ্চালনায় নব-নির্মিত চিতা ও শবদেহ স্নানাগারের উদ্বোধনী আলোচনা সভায় উদ্বোধকের বক্তব্য রাখেন জামালপুর পৌরসভার মেয়র ও পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক দেবব্রত নাগ মধু, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ জামালপুর জেলা শাখার সহ-সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য বিজন কুমার চন্দ, জামালপুর পৌরসভার প্যানেল মেয়র ফজলুল হক আকন্দ, বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ জামালপুর জেলা শাখার সভাপতি প্রদীপ কুমার সোম রানু, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদ জামালপুর জেলা শাখার ভারপ্রাপ্ত সভাপতি কৃষিবিদ লক্ষ্মী কান্ত পন্ডিত, জামালপুর শ্রী শ্রী রীঁ দয়াময়ী মন্দির পরিচালনা পরিষদের সহ-সভাপতি নারায়ণ চন্দ্র বনিক, জামালপুর মহাশ্মশান ঘাট পরিচালনা পরিষদের সহ-সভাপতি রঞ্জন কুমার সিংহ,সাধারণ সম্পাদক সুজন দত্ত প্রমুখ।
অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ৫ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর রাজীব সিংহ সাহা,৯ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি হবিবর রহমান হবি,সংরক্ষিত ৭,৮ ও ৯ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর তাসলিমা আক্তার সহ কমিটির সকল নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও নব-নির্মিত চিতা ও শবদেহ স্নানাগারের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হিন্দু ধর্মাবলম্বীর সকল নেতৃবৃন্দ সহ এলাকার গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
নব-নির্মিত চিতা ও শবদেহ স্নানাগারের উদ্বোধন শেষে জামালপুর পৌরসভার মেয়র মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন ছানু নবনির্মিত চিতা ও শবদেহ স্নানাগার আরো আধুনিক করার জন্য ৫০হজার টাকা অনুদান প্রদান করেন।
বক্তারা বলেন মানুষ মারা যাওয়ার পর শেষ বিদায় জানাতে দুটি স্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। মুসলমানদের নিয়ে যাওয়া হয় গোরস্থানে আর হিন্দুদেরকে নিয়ে যাওয়া হয় শ্মশান ঘাটে। মৃত ব্যাক্তির আত্মীয় স্বজন শ্মশানে এসে যাতে আত্মতৃপ্তি পায়। সেই দিকে সকলকে খেয়াল রাখার আহবান জানান বক্তারা।