একাধিক দেশের অর্থনৈতিক নেতারা জি২০ বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানে রাশিয়া কথা বলতে শুরু করায় ওয়াকআউট করলেন বাকিরা।
ওয়াশিংটনে একইসঙ্গে দুটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চলছে। একদিকে ইন্টারন্যাশনাল মনিটারি ফান্ডের বৈঠক এবং অন্যদিকে জি২০ দেশগুলোর অর্থনৈতিক নেতা এবং এবং ওই দেশগুলোর সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের গভর্নররা আলোচনায় বসেছেন। বুধবার সেই বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকের মূল বিষয় হলো বিশ্বজুড়ে অর্থনৈতিক পরিস্থিতি এবং খাদ্য সংকট। তবে আলোচনায় সবচেয়ে বেশি উঠে এসেছে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন।
ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছেন রাশিয়ার প্রতিনিধিও। বুধবার তিনি যখন কথা বলতে শুরু করেন, তখন আমেরিকার নেতৃত্বে অধিকাংশ দেশের নেতারা আলোচনাসভা থেকে ওয়াকআউট করেন। ইউক্রেন যুদ্ধের প্রতিবাদে এই ওয়াকআউট বলে জানানো হয়েছে। শুধু তা-ই নয়, যারা ভার্চুয়ালি ওই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন, তারা ক্যামেরা বন্ধ করে প্রতিবাদ জানান বলে জানানো হয়েছে।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কানাডার ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী ক্রিস্টিয়া ফ্রিল্যান্ড টুইটে একটি ছবি পোস্ট করেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, এভাবেই রাশিয়ার বিরুদ্ধে ওয়াকআউট করা হয়েছে। গোটা বিশ্ব রাশিয়ার আগ্রাসন মেনে নিচ্ছে না।
যুক্তরাজ্যের মুখপাত্র সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, ‘আমরা এভাবেই আমাদের প্রতিবাদ চালিয়ে যাব। রাশিয়ার বিরুদ্ধে আমরা সংহত অবস্থান নিয়েছি। রাশিয়ার এই আগ্রাসনের প্রতিবাদের পাশাপাশি তাদের বিরুদ্ধে আরো কঠিন ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ভাবা হচ্ছে’।
রাশিয়ার ডেপুটি অর্থমন্ত্রী ওয়াশিংটনের বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। ভার্চুয়ালি যোগ দিয়েছিলেন রাশিয়ার অর্থমন্ত্রী এবং সেন্ট্রাল ব্যাঙ্কের গভর্নর। আমেরিকা জানিয়েছে, তাদের উপস্থিতি কাঙ্খিত নয়। কেন তারা বৈঠকে যোগ দিয়েছেন, এ প্রশ্ন তুলেই ওয়াকআউট করা হয়েছে।
ফরাসি অর্থমন্ত্রীও জানিয়েছেন, তারা চেয়েছিলেন, রাশিয়া যেন ওই বৈঠকে যোগ না দেয়। বৈঠকের আগে জার্মান অর্থমন্ত্রী জানান, প্রোপাগান্ডা চালানোর জন্য রাশিয়াকে কোনো মঞ্চ দিতে তারা প্রস্তুত নন।