ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীরা প্রতি বছরই অগ্রিম টিকিট কেটে রাখে। করোনা পরিস্থিতির কারণে গত দুই বছর ঈদে ছিল বিধি নিষেধ। এবার তা না থাকায় ভিড় একটু বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
শনিবার (২৩ এপ্রিল) সকাল ৮টা থেকে শুরু হয়েছে ঈদযাত্রার জন্য ট্রেনের টিকিট বিক্রি। এদিকে শুক্রবার (২২ এপ্রিল) সন্ধ্যার পর থেকেই কমলাপুর স্টেশনে লাইন দীর্ঘ করতে থাকেন টিকিট প্রত্যাশীরা। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দেখা যায় উপচেপড়া ভিড়। যানজট এড়িয়ে নির্বিঘ্নে বাড়ি ফিরতেই শুরু হয়েছে ট্রেনের টিকিট পাওয়ার এ লড়াই।
আজ বিক্রি হচ্ছে ২৭ এপ্রিলের আগাম টিকিট। দেয়া হচ্ছে ৩৭টি ট্রেনের ২৬ হাজার ৭০০টি টিকিট। এর মধ্যে স্টেশন থেকে অর্ধেক, বাকিটা অনলাইনে।
তবে সকাল থেকে অনলাইনে ট্রাই করেও অনেকেই সার্ভার জটিলতার কারণে অনলাইনে টিকিট কাটতে পারেন নি। যাত্রীরা এ ধরনের ভোগান্তির অবসান চাইছেন। যদিও পরবর্তীতে সার্ভার ঠিক হয়েছে। কিন্তু খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে টিকিট। অনেকেই অনলাইনে টিকিট না পেয়ে হতাশ।
এদিকে, ‘সুযোগ’ হাতছাড়া না করতে লাইনে দাঁড়িয়েও টিকিট কাটতে অনলাইনে ঢুঁ মারতে দেখা গেছে অনেককে।
অনলাইন ছাড়াও রাজধানীর কমলাপুর, বিমানবন্দর, তেজগাঁও, বনানী ও গুলিস্তান পুরাতন রেলস্টেশনের ৭৭টি কাউন্টারে ঈদের টিকিট বিক্রি করছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। কমলাপুর স্টেশন থেকে দেয়া হচ্ছে উত্তরবঙ্গগামী ও খুলনা অঞ্চলগামী ১৬টি ট্রেনের টিকিট।
এদিকে, রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ঈদ উপলক্ষে ছয়টি বিশেষ ট্রেন চালু করা হবে। সেগুলো হচ্ছে চাঁদপুর স্পেশাল দুই জোড়া, দেওয়ানগঞ্জ স্পেশাল এক জোড়া, শোলাকিয়া স্পেশাল দুই জোড়া, খুলনা স্পেশাল এক জোড়া। তবে এসব ট্রেনের টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে না।
অনলাইনে ই-টিকিটিংয়ের মাধ্যমে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি সকাল ৮টায় শুরু হবে। এ ছাড়া কাউন্টারে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত এক টানা অগ্রিম টিকিট বিক্রি চলবে। প্রতিটি টিকিট বিক্রয় কেন্দ্রে একটি করে নারী ও প্রতিবন্ধীদের জন্য কাউন্টার থাকবে। একজন যাত্রী একসঙ্গে সর্বোচ্চ চারটি টিকিট কিনতে পারবেন।
স্পেশাল ট্রেনের কোনো টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে না। শুধু স্টেশন কাউন্টারে বিক্রি করা হবে।
বিক্রি করা ঈদযাত্রার অগ্রিম টিকিট ফেরত নেয়া হবে না।