রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থী রাশেদ হোসেন প্রান্ত ও ইসলামী ব্যাংক নার্সিং কলেজের ৩ বর্ষের নার্সিং শিক্ষার্থী মোসা. মৌসুমী খাতুন। তারা উভয়ে স্বামী-স্ত্রী। করোনাকালে জনপ্রিয় ডাক্তারদের নাম পদবী ব্যবহার করে একাধিক ভুয়া ফেসবুক আইডি খোলে প্রযুক্তির মাধ্যমে কন্ঠ পরিবর্তন করে কখনো ডাক্তার কখনো বা সহকারী সেজে চর্ম, যৌনসহ একাধিক রোগের চিকিৎসাসেবা প্রদান করতো।
তারা প্রায় দুই বছর ধরে এ কাজ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে। টেলিমেডিসিন চিকিৎসা সেবা দেয়ার নামে প্রতারণার অভিযোগে তাদের গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) এর ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগ।
বুধবার রাজশাহী মহানগরের শাহ মখদুম থানা এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে ডিবি সাইবারের সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিম। তাদের কাছ থেকে ৩টি মোবাইল ফোন উদ্ধার ও বিভিন্ন ডাক্তারের নামে ১৩টি ফেসবুক আইডি এবং ৩টি হোয়াটসঅ্যাপ আইডি জব্দ করা হয়।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে এসব তথ্য জানান ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার এ কে এম হাফিজ আক্তার।
অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার বলেন, জার্মানভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানের স্বাস্থ্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান ইউ ভিলা মেডিকা (EW VILLA MEDICA)এর চীফ লিগ্যাল অফিসার মো. আবু সাঈদ গত ৩১ মার্চ একটি ফেসবুক আইডিতে তাদের প্রতিষ্ঠানের এক ডাক্তারের নাম ও মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে ভুয়া প্রেসক্রিপশন দেখতে পান। তার অভিযোগের ভিত্তিতে ১১ এপ্রিল শেরেবাংলা নগর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা হয়।
তিনি বলেন, মামলাটির তদন্তভার দেয়া হয় ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইম বিভাগের সোশ্যাল মিডিয়া ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমকে। টিমটি তথ্য প্রযুক্তি ও সোর্সের সহায়তায় চক্রটিকে শনাক্ত করে। পরবর্তী সময়ে বুধবার রাজশাহী মহানগরের শাহ মখদুম থানা এলাকা থেকে তাদের দুইজনকে গ্রেপ্তার করে।
গোয়েন্দা কর্মকর্তা বলেন, গ্রেপ্তার রাশেদ হোসেন প্রান্ত রাজশাহী ইসলামী ব্যাংক মেডিকেল কলেজের ৫ম বর্ষের শিক্ষার্থী ও মোসা. মৌসুমী খাতুন ইসলামী ব্যাংক নার্সিং কলেজের ৩ বর্ষের নার্সিং শিক্ষার্থী এবং তারা উভয়ে স্বামী-স্ত্রী। তারা করোনাকালে জনপ্রিয় ডাক্তারদের নাম পদবি ব্যবহার করে একাধিক ভুয়া ফেসবুক আইডি খোলে। এরপর প্রযুক্তির মাধ্যমে কণ্ঠ পরিবর্তন করে কখনো ডাক্তার কখনো বা সহকারী সেজে চর্ম, যৌনসহ একাধিক রোগের চিকিৎসাসেবা প্রদান করতো। তারা প্রায় দুই বছর ধরে এ কাজ করে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।
যেকোন অসুস্থতায় সংকোচবোধ না করে সরাসরি বিশেষজ্ঞ বা পরিচিত ডাক্তারদের পরামর্শ নেয়া এবং সন্দেহ হলে পুলিশকে জানানোর অনুরোধ করেন ডিবির এই কর্মকর্তা।