আব্দুর রশিদ, খুলনা
ডুমুরিয়ার সৈয়দ টেকনিক্যাল এন্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বাঙালির জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। যার দূরদর্শী চিন্তা চেতনায়র নেতৃত্বে একটি পরাধীন জাতি পায় স্বাধীনতার স্বাদ। বহু বছরের শোষণ-দুঃশাসনের অবসান ঘটিয়ে তিনি গড়ে তোলেন সমৃদ্ধিশালী, গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একজন বিরল নেতা। শেখ মুজিব আদর্শ রাষ্ট্রনায়ক, প্রজাপ্রেমী ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন । যে মানুষটি কখনোই বাঙালিকে অবিশ্বাস করেননি, শত্রু ভাবেননি, সেই শুদ্ধ চিত্তের মানুষটিকেই কয়েকজন স্বার্থপর-ঘাতক সপরিবারে হত্যা করল- যা শুধু বাঙালির ইতিহাসেরই নয়, পৃথিবীর ইতিহাসেও একটি কলঙ্কজনক ঘটনা বলে বিবেচিত। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট হত্যাকাণ্ড শুধু একটি হত্যাকাণ্ডই নয়, একটি স্বাধীন, অসাম্প্রদায়িক জাতিকে পরাধীন ও সাম্প্রদায়িক করার পাশবিক চক্রান্তও বটে। যারা সাম্রাজ্যবাদী তারাই বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারী। বঙ্গবন্ধু হত্যার পরিকল্পনাকারী হতে হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়নকারী পর্যন্ত সবাই অপরাধী, সবাই দেশের শত্রু । বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর সমগ্র বাংলাদেশ থমকে গিয়েছিল। বজ্রাহত মানুষের মতো অসাড় হয়ে গিয়েছিল বাংলার শোকাহত মানুষ। ঘনিষ্ঠ স্বজন মারা গেলে মানুষ যেমন বাকরুদ্ধ ও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যায়, বঙ্গবন্ধুর হত্যার ঘটনায়ও পুরো বাঙালি জাতি শোকে-দুঃখে পাথর হয়ে গিয়েছিল। মানুষ এখন সেই অবশ মুহূর্তগুলোর কথা ভুলে গিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রশংসা করছেন, তাঁর নামে স্তুতি-স্তব করছেন, এটাই এখন ইতিহাস। ১৯৭৫-এর পরে দীর্ঘ একুশ বছর বাংলাদেশে বঙ্গবন্ধুর দর্শন ভুলানো হয়েছে, তার নাম মুছে ফেলার ষড়যন্ত্র করেছে দেশ বিরোধী রাজাকারা ও খুনি জিয়া । তবে তা বাস্তবায়ন হতে দেয়নি তার কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা। তিনি লড়াই-সংগ্রাম করে বাংলাদেশেকে সোনার বাংলায় রূপান্তর করতে সব সময় কাজ করে যাচ্ছেন।
রবিবার (১৫ আগষ্ট ২০২২) সকাল ১০ টায় কলেজের অফিস কক্ষে অধ্যক্ষ জিএম আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বক্তৃতা করেন বাংলা প্রভাষক বিজন কুমার রায়, ক্রীড়া শিক্ষক মোঃ গফফার বাওয়ালী, লাইব্রেরীয়ান মেঃ কামরুল ইসলাম, অফস সহকারী সুরঞ্জন ঘোষ। অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন সিনিয়র সহঃ অধ্যাপক আঞ্জুমান আরা, প্রভাষক নাসির উদ্দীন কাগজী, এসকে নজরুল ইসলাম, প্রভাষক সঞ্জয় ঘোষ, প্রভাষক গোবিন্দ ঘোষ, প্রভাষক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, প্রভাষক সুব্রত নন্দী,প্রভাষক খন্দকার মোস্তাক আহম্মেদ, প্রভাষক মোঃ ফারুক হোসেন প্রভাষক দিলীপ কুমার নন্দী, প্রভাষক নির্মালা কুমার মল্লিক, প্রভাষক দীপঙ্কর সুর, প্রভাষক আক্তারুজ্জামান চঞ্চল, ক্রীড়া শিক্ষক গফফার বাওয়ালী, প্রভাষক মোঃ হাবিবুর রহমান, প্রভাষক মোঃ আমজাদ হোসেন, প্রভাষক, মোঃ রবিউল ইসলাম, প্রভাষক আব্দুল হামিদ, প্রভাষক নাজমা আক্তার শিউলী, প্রভাষক কবির হোসেন, প্রদর্শক বিধান মন্ডল, প্রভাষক আবুল হাসান, শিলপুন নাহার, রুমিচা পারভীন রফিকুল ইসলাম, মোঃ আসাদুজ্জামান, শফিকুল ইসলাম প্রমুখ উপস্হিত ছিলেন।