ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ২৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
শিরোনাম :
“জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস” উপলক্ষে ধানমন্ডি আইডিয়াল কলেজে আলোচনা ও দোয়া অনুষ্ঠিত আশাশুনি ও শ্যামনগরকে একীভূত করে সংসদীয় আসনের আপত্তিতে স্মারকলিপি প্রদান কবরে আর জেলখানায় একাই যেতে হয়, কলিমুল্লাহকে আদালত দীপু মনি অন্যায় আবদার করতেন, আদালতকে কলিমুল্লাহ আজ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের ‘দ্বিতীয় অধ্যায়’ শুরু রামগঞ্জ থানার নবাগত ওসি আঃ বারী’র যোগদান ট্রাম্প শুল্ক আরোপের পর মোদি- চড়া মূল্য দিতে হলেও আপস করব না ঢাকা ও তেজগাঁও বিমানবন্দরের নো-ফ্লাই জোনে ২৬৩টি অনুমোদনহীন উঁচু ভবন ধামরাইয়ে মাদক বিরোধী মত বিনিময় সভা বাঙ্গালহালিয়া-ধুলিয়া মুসলিম পাড়ার চলাচল রাস্তা কাঁদা মাটিতে হাহাকার, শত শত মানুষের দুর্ভোগ

ঢাকায় বন্ধ হচ্ছে গোল্ডলিফ-বেনসনের কারখানা

সাংবাদিক

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড (বিএটি বাংলাদেশ) তাদের নিবন্ধিত প্রধান কার্যালয় রাজধানীর মহাখালীর নিউ ডিওএইচএস থেকে আশুলিয়ায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

ডিএসইর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে বিএটি বাংলাদেশের নতুন অফিসের ঠিকানা হবে: ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, দেহোরা, ধামসোনা, বলিভদ্র বাজার, আশুলিয়া, ঢাকা-১৩৪৯। একই দিনে মহাখালীর কারখানার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।

প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের সর্বশেষ মূল্য ছিল ২৮৪ দশমিক ৯০ টাকা। কোম্পানিটি ধারাবাহিকভাবে উচ্চ হারে লভ্যাংশ দিয়ে আসছে- ২০২৪ সালে ৩০০ শতাংশ, ২০২৩ সালে ১০০ শতাংশ, ২০২২ সালে ২০০ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ২৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়।

মহাখালীর এই কারখানাটি ১৯৬৫ সালে স্থাপন করা হয়েছিল, যা ছিল কোম্পানির দ্বিতীয় কারখানা। প্রথম কারখানাটি ১৯৪৯ সালে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে স্থাপন করা হয়। আবাসিক এলাকায় এই কারখানা স্থাপনের বিরোধিতা করে দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশবাদীরা সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

জানা গেছে, কোম্পানিটি এই জমি ইজারা নিয়ে ব্যবহার করছিল এবং প্রতি ইজারা চুক্তির মেয়াদ ছিল ৩০ বছর, সর্বোচ্চ নবায়নযোগ্য মেয়াদ ৯০ বছর। ৬০ বছর কারখানা চালানোর পর বাকি ৩০ বছরের জন্য ইজারা নবায়নের আবেদন করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা মঞ্জুর না করায় বিএটি বাংলাদেশ আইনি পদক্ষেপ নেয়।

তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গত ২৮ মে কোম্পানির করা আপিল খারিজ করে দেন। এই রায়ের পরই আজ কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রধান কার্যালয় স্থানান্তর ও কারখানা বন্ধের ঘোষণা আসে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করুন

আপনার মতামত লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল ও অন্যান্য তথ্য সঞ্চয় করে রাখুন

আপডেটের সময় : ০৩:৪৭:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫
৭২২ Time View

ঢাকায় বন্ধ হচ্ছে গোল্ডলিফ-বেনসনের কারখানা

আপডেটের সময় : ০৩:৪৭:৩৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ জুন ২০২৫

ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড (বিএটি বাংলাদেশ) তাদের নিবন্ধিত প্রধান কার্যালয় রাজধানীর মহাখালীর নিউ ডিওএইচএস থেকে আশুলিয়ায় স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদ এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে গণমাধ্যমে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।

ডিএসইর বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০২৫ সালের ১ জুলাই থেকে বিএটি বাংলাদেশের নতুন অফিসের ঠিকানা হবে: ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো বাংলাদেশ কোম্পানি লিমিটেড, দেহোরা, ধামসোনা, বলিভদ্র বাজার, আশুলিয়া, ঢাকা-১৩৪৯। একই দিনে মহাখালীর কারখানার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে।

প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারের সর্বশেষ মূল্য ছিল ২৮৪ দশমিক ৯০ টাকা। কোম্পানিটি ধারাবাহিকভাবে উচ্চ হারে লভ্যাংশ দিয়ে আসছে- ২০২৪ সালে ৩০০ শতাংশ, ২০২৩ সালে ১০০ শতাংশ, ২০২২ সালে ২০০ শতাংশ এবং ২০২১ সালে ২৭৫ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দেওয়া হয়।

মহাখালীর এই কারখানাটি ১৯৬৫ সালে স্থাপন করা হয়েছিল, যা ছিল কোম্পানির দ্বিতীয় কারখানা। প্রথম কারখানাটি ১৯৪৯ সালে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাটে স্থাপন করা হয়। আবাসিক এলাকায় এই কারখানা স্থাপনের বিরোধিতা করে দীর্ঘদিন ধরে পরিবেশবাদীরা সরিয়ে নেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছিলেন।

জানা গেছে, কোম্পানিটি এই জমি ইজারা নিয়ে ব্যবহার করছিল এবং প্রতি ইজারা চুক্তির মেয়াদ ছিল ৩০ বছর, সর্বোচ্চ নবায়নযোগ্য মেয়াদ ৯০ বছর। ৬০ বছর কারখানা চালানোর পর বাকি ৩০ বছরের জন্য ইজারা নবায়নের আবেদন করলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ তা মঞ্জুর না করায় বিএটি বাংলাদেশ আইনি পদক্ষেপ নেয়।

তবে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ গত ২৮ মে কোম্পানির করা আপিল খারিজ করে দেন। এই রায়ের পরই আজ কোম্পানির পক্ষ থেকে প্রধান কার্যালয় স্থানান্তর ও কারখানা বন্ধের ঘোষণা আসে।