মঙ্গলবার রাতে তাইওয়ানে অবতরণের পর এক টুইট বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি বলেছেন, তাইওয়ানের ২ কোটি ৩০ লাখ মানুষের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সংহতি আগের চেয়ে অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কারণ বিশ্ব স্বৈরতন্ত্র ও গণতন্ত্রের মধ্যে একটি বেছে নেওয়ার মুখোমুখি হয়েছে।
পেলোসি বলেন, তার প্রতিনিধি দলের এ সফর ‘তাইওয়ানের গণতন্ত্রকে সমর্থন করতে যুক্তরাষ্ট্রের অবিচল অঙ্গীকারকে’ সম্মান জানায়। তাইওয়ানের নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা আমাদের অংশীদারের প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে এবং একটি মুক্ত ও উন্মুক্ত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়াসহ আমাদের অভিন্ন স্বার্থকে সমুন্নত করে।
তিনি বলেন, আমাদের তাইওয়ানে এই সফর কংগ্রেসের প্রতিনিধি দলের কয়েকটি সফরের মধ্যে একটি এবং এটি কোনোভাবেই ১৯৭৯ সালের যুক্তরাষ্ট্র-চীনের চুক্তি এবং যুক্তরাষ্ট্রের দীর্ঘদিনের নীতির সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়।
সিএনএনের প্রতিবেদনে বলা হয়, ২৫ বছরের মধ্যে এই প্রথম মার্কিন হাউসের কোনো স্পিকার তাইওয়ান সফর করলেন। এ সফর নিয়ে কয়েকদিন ধরে মার্কিন-চীন সম্পর্ক নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে। এমনকি জো বাইডেন প্রশাসনের সতর্কতা সত্ত্বেও তাইওয়ানে অবতরণ করছেন পেলোসি।
ন্যান্সি পেলোসির এ সফরকে কেন্দ্র করো আমেরিকা-চীন বৈরিতা এখন তুঙ্গে। চীনের পর পাল্টা হুঁশিয়ারি দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রও।
যুক্তরাষ্ট্র বলেছে, মার্কিন হাউস অফ রিপ্রেজেন্টেটিভসের স্পিকার ন্যান্সি পেলোসির সম্ভাব্য তাইওয়ান সফরকে ঘিরে চীন যেন কোনো উত্তেজনা সৃষ্টি না করে। পেলোসির তাইওয়ান সফরের অধিকার আছে।
হোয়াইট হাউস হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছে, পেলোসি তাইওয়ান যাচ্ছেন বলে চীন উত্তেজনা বৃদ্ধি করবে, এটা হতে পারে না। তারা চীনকে সুর নরম করতে বলেছে।
চীন জানিয়েছিল, পেলোসির তাইওয়ান সফর খুবই উস্কানিমূলক এবং চীনের সেনারাও খুব একটা দূরে নেই। কিন্তু হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, তাইওয়ান যাবেন কি না, সেটা শেষ পর্যন্ত পেলোসিই ঠিক করবেন।
এদিকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের কার্যালয় ক্রেমলিন ন্যান্সি পেলোসি তার চলমান এশিয়া সফরে যদি তাইওয়ানে আসেন, তাহলে তা এই অঞ্চলে অশান্তি উস্কে দিতে পারে বলে যুক্তরাষ্ট্রকে হুঁশিয়ারি দিয়েছে।