রাজশাহী : রাজশাহীতে সকাল থেকেই আগুন ঝরাচ্ছে সূর্য। ঠা ঠা রোদে পুড়ছে পদ্মাপারের এই শহর। তীব্র তাপপ্রবাহে সবুজ গাছপালাও যেন তপ্ত নিশ্বাঃস ছাড়ছে।
গরমের তীব্রতায় মানুষসহ পশু-পাখিরাও হাঁসফাঁস করছে। ঘরে-বাইরে কোথাও এতটুকু যেন স্বস্থি নেই। রমজান মাসে প্রকৃতি যেন রুদ্রমূর্তি ধারণ করেছে। অব্যাহত তাপপ্রবাহে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। একটু বৃষ্টি ও শীতল হাওয়ার পরশ পেতে ব্যাকুল হয়ে উঠেছে মানুষ। কিন্তু বৃষ্টির দেখা নেই!
১৫ এপ্রিল শুক্রবার রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রী সেলসিয়াস। যা মৌসুমের সর্বোচ্চ তাপতমাত্রা। গত কয়েকদিন ধরে রাজশাহী অঞ্চলের উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তাপপ্রবাহ। মার্চের মধ্যভাগ থেকে এপ্রিলের মধ্যভাগ পর্যন্ত তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে রাজশাহীর ওপর দিয়ে। এর মধ্যে গত ৪ এপ্রিল মাত্র ০ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এর আগে ও পরে দেশের বিভিন্ন স্থানে হালকা বৃষ্টি হলেও খরাপ্রবণ এলাকা রাজশাহীতে তার দেখা নেই।
ফলে বৃষ্টির জন্য চারিদিকে হাহাকার পড়ে গেছে। টানা তাপদাহে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। অসহনীয় রোদ, আর গরমে স্থবিরতা নেমে এসেছে কর্মজীবনেও। বাসা, অফিস কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সবখানেই যেন গরম আর গরম। দিনের বেলায় দূরে থাক, রাতেও গাছের পাতা নড়ছে না।
আসবাবপত্র থেকে শুরু করে সব জিনিসপত্র তেঁতে উঠছে। ঘরের ট্যাপ দিয়ে বের হচ্ছে ফুটন্ত পানি। বাতাসে আর্দ্রতা বেশি থাকায় মাথার উপরের ফ্যানটাও দিচ্ছে গরম বাতাস। রাজশাহীর আবহাওয়ার তেমন হেরফের হচ্ছে না। এর মধ্যে রয়েছে বিদ্যুতের ভেলকিবাজি।
রাজশাহী আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়া পর্যবেক্ষক রেজওয়ানুল হক জানান, গত কয়েকদিন ধরে রাজশাহীর তাপমাত্রা বাড়ছেই। শুক্রবার বেলা ৩টায় রাজশাহীতে সর্বোচ্চ তাপামাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪১ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তিনি বলেন, সাধারণত তাপমাত্রা ৩৬ থেকে ৩৮ হলে মৃদু তাপপ্রবাহ, ৩৮ থেকে ৪০ হলে মাঝারি তাপপ্রবাহ এবং ৪০ থেকে ৪২ হলে তীব্র তাপপ্রবাহ বলে ধরা হয়। এছাড়া সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের ওপরে উঠলে তাকে অতিতীব্র তাপপ্রবাহ হিসেবে ধরা হয়। ফলে রাজশাহীর ওপর দিয়ে এখন তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে।