শহিদুল ইসলাম: জনসম্পৃক্ততা মানুষের ভালোবাসা মহান ব্যক্তিত্বের অধিকারী হলেও করেন সাধারণ জীবন যাপন। অন্যের দুঃখে যে কাঁদে অন্যের সুখে যে হাসে এবং সারা বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীদের পছন্দের ব্যক্তি তিনি হচ্ছেন আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রেসিডিয়াম মেম্বার আওয়ামী লীগ প্রধান বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আস্থাভাজন বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আব্দুর রহমান। মূলত ছাত্র রাজনীতি দিয়েই তার উত্থান। বাংলাদেশ ছাত্রলীগের তিনি ছিলেন সাবেক সাধারণ সম্পাদক, পরবর্তীতে সাংগঠনিক সম্পাদক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তারপর সভাপতিমন্ডলীয় সদস্য করেন আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান ও সভানেত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশের ছাত্র রাজনীতিতে তার অবদান ছিল অনস্বীকার্য ও গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক
মরহুম মামুনের বিদেহী আত্মার প্রতি মাগফেরাত ও শ্রদ্ধা নিবেদন করতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে দুপুর ১ ঘটিকায় এসেছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের অন্যতম প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা জনাব আব্দুর রহমান। পরবর্তীতে দুপুর ১.৩০ মিনিটে জানাজায় অংশগ্রহণ শেষে মরহুমের আত্মার প্রতি ফুলেল শ্রদ্ধাঞ্জলি জানান। উল্লেখ্য যে আজ তার আওয়ামী লীগের দলীয় নমিনেশন ফরম কেনার কথা ছিল। সকালবেলা বের হয়েছিল ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের দিকে। ইতোমধ্যে সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মামুনের মৃত্যুর খবর আছে তখন সে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে না গিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মধুর ক্যান্টিনে চলে যান। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি সাদ্দাম হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক শেখ ইনান, সাবেক ছাত্রলীগের সভাপতি শোভন, সাংগঠনিক সম্পাদক সাদ দিন কাদের চৌধুরী সহ আরো অন্যান্য ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নেতা কর্মীবৃন্দ। যদিও পরবর্তীতে নিকট আত্মীয় ও তার সংসদীয় আসন ফরিদপুর ১ এর নেতাকর্মীদের মাধ্যমে দলীয় মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন।
ফরিদপুর-১ (বোয়ালমারী-মধুখালী-আলফাডাঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে যাদের নাম শোনা যাচ্ছে তারা হচ্ছেন সাবেক এমপি এমপি ও আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য আব্দুর রহমান গত নির্বাচনে মনোনয়ন পাননি। আব্দুর রহমানকেও গত পাঁচ বছরে রাজপথে সক্রিয় দেখা গেছে। আওয়ামী লীগের বিভিন্ন জনসভা, বিভিন্ন এলাকায় সম্মেলন, বিভিন্ন কর্মসূচিতে তিনি ছিলেন সরব। সারাদেশ তিনি চষে বেরিয়েছেন। এমপি না থাকা সত্ত্বেও ২০২০ সালের করোনা মহামারীর সময় চারিদিকে যখন মৃত্যুর মিছিল আতঙ্ক হাহাকার ঠিক তখনই মানবতার ফেরিওয়ালা ও একজন সাধারন স্বেচ্ছাসেবক এর মত সকলের পাশে ছিলেন, কাজ করে গেছেন এলাকার জনগণের জন্য। এ সময় গরিব-দুঃখী অসহায় মানুষদের বিভিন্ন খাদ্য সহায়তা, আর্থিক সহায়তা সহ নানাবিধ সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেন আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট এই নেতা। মূলত তার বিভিন্ন মানবিক কাজকর্মের কারণে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন মহলে সুনাম অর্জনে সক্ষম হয়েছেন।
আর তার ফলাফল তিনি পাচ্ছেন হাতেনাতে। আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এ যাবৎকালে করা ৬ জরিপেই ফরিদপুরের আসনটিতে আব্দুর রহমানের নাম আছে সবার ওপরে। তার জনপ্রিয়তা অন্যান্য মনোনয়ন প্রত্যাশীদের চেয়ে অনেক বেশি।
তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, আব্দুর রহমান আওয়ামী লীগের জন্য নিবেদিত প্রাণ এবং সাধারণ মানুষের ভালোবাসার মানুষ। এলাকার সার্বিক উন্নয়নের লক্ষ্যে দক্ষিণ অঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ এ আসনে তার বিকল্প নেই। তিনি এমপি নির্বাচিত হলে কোন দুর্নীতি, স্বজনপ্রীতি হবে না। নেতাকর্মীরা আশা প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা বিভিন্ন জরিপের মাধ্যমে ফরিদপুর-১ আসনে মনোনয়ন দিলে নিশ্চিতভাবে তিনিই মনোনয়ন পাবেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীয় সদস্য জনাব আব্দুর রহমান বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে এবং বর্তমান সরকারের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের কোন বিকল্প নেই। সকল দলের অংশগ্রহণমূলক একটি নির্বাচন বাংলাদেশের মানুষ আশা করেন এবং বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন একটি অবাধ নিরপেক্ষ এবং সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দেবেন এই কামনাই করি।