ক্রাইম বিশেষ প্রতিনিধি:(ধারাবাহিক প্রতিবেদনের প্রথম পর্ব)
সাতকানিয়া উপজেলার বাজালিয়া মৌজার আর.এস ১৮৮৩নং খতিয়ানের এর.এস ২২৩৭, ২২৩৮, ২২৪০ দাগাদির সামিল বি.এস ২২৩, ১৬২১ নং খতিয়ানের বি.এস ৩৫৯৩, ৩৫৯৪ দাগাদারি ১৬.০০ শতক এবং বি.এস ১১৬১নং খতিয়ানের বি.এস ৩৫৯৫ এবং ৩৫৯৬ দাগের ২.৯৮ শতক সম্পত্তির ওয়ারিশসূত্রে বাদী বৃদ্ধ অসহায় আবুল কাশেম সাওদার, পিতা মৃতঃ সাদৎ হোসেন, মাতা আজিমা খাতুন,সাং-বাজালিয়া, বোমাং হাট, ডাকঘর-বাজালিয়া, উপজেলা সাতকানিয়া জেলা- চট্টগ্রাম। উল্লেখিত সম্পত্তির সমান ভাবে মালিক হওয়া সত্তেও লোকমান চৌধুরীর ওয়ারিশ জেনী আক্তার চৌধুরী, পিতা লোকমান চৌং, স্বামী নজু মিয়া চৌং,হানি আক্তার, পিতা- ঐ, স্বামী নাছির উদ্দীন চৌং,এনি আক্তার পিতা ঐ, স্বামী আলমগীর চৌংঃ এদের মদদে কথিত এলাকায় অসামাজিক ও আইন শৃঙ্খলা বিনষ্ট কারী দেশীয় অস্ত্র লাঠি দা দিয়ে অসহায় বৃদ্ধ আবুল কাশেম এর উপর বর্বচিত হামলা কারী জাফর মিয়া, কামরুন্নাহার (প্রকাশ গুরা বুড়ি), রানু আক্তার এবং বন্জ নামের কতিপয় উগ্রবাদী ক্ষমতার অপব্যহার করে ভায়ভিথি প্রদর্শন করে অসহায় বৃদ্ধ আবুল কাশেম সাও: হইতে জোরপূর্বক জায়গা দখল ও দোকানঘর দখলের পায়তারা করার খবর পাওয়া গিয়াছে। ভুক্তভোগী অসহায় বৃদ্ধ আবুল কাশেম প্রতিবেদক কে অভিযোগে জানান, ক্ষমতা ও টাকার জোরে আমাদেরকে এক প্রকার জিম্মি ও বাদ্য করিয়া উল্লেখ্য বিবাদীগণ একে অপরের যোগসাজোশে আমাদের দোকান ঘরের ভিঠা/ জায়গা নিয়ে পরিকল্পিত সমস্যা সৃষ্টি করে, আমরা উভয় পক্ষ তা সমাধানের জন্য স্থানীয় ইউপি সদস্য ছৈয়দ নিকট পরিমাপের মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে চাইলে ইউপি সদস্য উভয় পক্ষের আত্নীয় ও স্থানীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিবর্গ নিয়ে সরজমিনে উপস্থিত থাকিয়া একজন সার্ভেয়ার দ্বারা জমি পরিমাপ করিয়া খুটিঁ দ্বারা সীমানা চিহ্নত করিয়া দেন।
বর্তমানে আমাদের জায়গা ও দোকন ঘরের লোভে বিভিন্ন ভাবে আমাকে হয়রানি করে জায়গা ও দোকান ঘর দখলের পায়তারা অব্যহত রেখেছে। আমি এই ব্যাপারে দুষ্কৃতকারীদের কার্যক্রমে বাধাঁ প্রদান কিংবা প্রতিবাদ করিলে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সহ রক্তক্ষয়ী সংর্ঘষ বাধিঁবার পরিবেশ সৃস্টি হয়েছে, যার ফলে যে কোন সময় এলাকায় নৈরাজ্যকর পরিস্থতি সৃষ্টি হতে পারে, হতা-হতের ঘটনা সৃষ্টি হতে পারে। মামলার বাদী অসহায় বৃদ্ধ আবুল কাশেম সাও: প্রতিবাদককে আরো জানান, সাতকানিয়া কোর্টের পেশকার নেজাম বিবাদের সাথে আতাত করে একে অপরের যোগসাজশে আমাকে বৃদ্ধ বয়সে আর্থিক ও মানষিক ভাবে হয়রানির লক্ষ্যে সম্প্রতি সময়ে এক মাসে কয়েকবার মামলার শুধু হাজিরা যথাক্রমে গত ১৩/১০/২০২২, এর ৫দিন পর ১৯/১০/২০২২, ১১/১১/২০২২ইং এর পাঁচ দিন পর ১৭/১১/২০২২ইং। এই হল পেশকার অবস্থা। বিগত ১৯বছর যাবত আদালতে হাজিরা দিতে দিতে আমাকে নিঃস্ব করেছে বিবাদীগণ। এমতাবস্থায় তদন্তক্রমে বিবাদীদের অবৈধ কার্যকলাপ বন্ধে এবং বিগত ১৯বছর আদালত চলমান স্বত্ব সাব্যস্থে দখল স্থিরতর রাখার এবং বিভাগের আবেদন। মামলা নং অপর ৭৩/২০০৪, তারিখ -২৬-০২-২০০৪ইং (সংশোধন আদেশ নং ১৪, তাং ২৮-৬-২০০৫ইং) (সংশোধন আদেশ নং -১০০ তাং ২৭-১০-২০২১ইং) উল্লেখিত ১৯বছর আদালত চলমান মামলাটি দ্রুত নিষ্পত্তি করতে আইন ও বিচার বিভাগ, প্রশাসন বিভাগ, মানবাধিকার কমিশন, সুশিল সমাজের নাগরিকগণ, রাষ্ট্রপ্রতি, প্রধানমন্ত্রী,উচ্চ পদস্থ নেত্রীবৃন্দসহ সকলের নিকট ন্যায় বিচার পাওয়ার আকুল আবেদন জানাচ্ছি। এর ফলে মানুষ আইনের প্রতি আরো শ্রদ্ধশীল হবে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা পাবে।