আন্তর্জাতিক ডেস্ক
চলতি মাসের গত দুই সপ্তাহে লিবিয়ান উপকূলে কমপক্ষে ৭০ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী মারা গেছে অথবা নিখোঁজ হয়েছে বলে জানিছে জাতিসংঘের মাইগ্রেশন এজেন্সি।
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার লিবিয়া প্রধান ফেডরিকো সোডা বলেন, আমি মধ্য ভূমধ্যসাগরে ক্রমাগত জীবনহানি এবং এই চলমান ট্র্যাজেডি মোকাবেলায় পদক্ষেপের অভাব দেখে আতঙ্কিত। মধ্য সাগরীয় এলাকায় ক্রমাগত প্রাণহানির সংখ্যা বৃদ্ধি এবং এটি নিয়ন্ত্রণ করতে প্রয়োজনীয় উদ্যোগের ঘাটতির কারনে আপিল করেছিলাম।
গত ১২ মার্চ লিবিয়ার টোব্রুক উপকূলে ২৫ জন নাবিক বহনকারী একটি নৌকা ডুবে যায়। পুলিশ ৬ জনকে জীবিত এবং ৭ জনের লাশ উদ্ধার করে বাকি ১২ জন এখনো নিখোঁজ রয়েছেন।
আইওএম’র অভিবাসী নিখোঁজের তালিকা অনুযায়ী এ ঘটনাসহ এ পর্যন্ত এ বছর মোট ২১৫ জন অভিবাসী লিবিয়ান উপকূলে নিখোঁজ হয়েছেন।
মৃত্যু ঝুকিপূর্ণ অভিবাসন রুট
দীর্ঘদিন ধরেই যুদ্ধ ও দারিদ্র্যের কবলে পড়া দেশের নাগরিকরা লিবিয়াকে ইউরোপ পৌছানোর জন্য একটি হটস্পট হিসেবে ব্যবহার করে আসছে অভিবাসনপ্রত্যাশী ও মানবপাচারকারীরা। তারা প্রথমে লিবিয়ায় আসে এরপর এখান থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্য পাড়ি দেয়।
আইওএম এই ভূমধ্যসাগরীয় এলাকায় অভিবাসীদের মৃত্যুহার কমাতে তাদের দৃঢ় পদক্ষেপ অব্যাহত রেখেছে।
আইওএম কর্মকর্তা বলেন, এ বছর লিবিয়ান উপকূলেই অর্ধেকের বেশি অভিবাসী মৃত্যুবরণ করেন।
যারা হিসাবের অন্তরালে
গত ২৭ ফেব্রুয়ারি একটি জাহাজ সাবারতাহ পোর্ট ছেড়ে যায় এবং ছেড়ে যাওয়ার ৪ ঘণ্টা পরই ঢেউয়ের কবলে পড়ে ডুবে যায়। যেখান থেকে ১৫ জনের লাশ উদ্ধার করা হয় এবং জীবিত কাউকে উদ্ধার করা যায় নি। জাহাজের আরও ৩৫ জন এখনো নিখোঁজ।
অভিবাসনের আরও বিকল্প ব্যবস্থা থাকা উচিতঃ
জাতিসংঘ অভিবাসন স্বংস্থা আইনের অসম ব্যবহারকে এই মারাত্মক দুর্ঘটনাগুলোর কারন হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
মানুষ যাতে উন্নত এবং আরামদায়ক জীবনের জন্য তাদের জীবনকে ঝুকির মুখে না ফেলে সেজন্য আইওএমকে আর সুশৃঙ্খলিত এবং নিয়মিত হওয়ার তাগিদ দেয়া হয়েছে।