আজ দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) ১৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ২০০৪ সালের ২১ নভেম্বর ‘দুর্নীতি দমন ব্যুরো’ বিলুপ্ত করে দুদক আইন ২০০৪ এর মাধ্যমে স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশন কমিশন প্রতিষ্ঠা করা হয়।
কমিশন গঠনের পর দুর্নীতিবিরোধী রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানটি দেড় যুগ পূর্ণ করল।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে কমিশন বেশ কিছু আয়োজন করেছে। সকাল সাড়ে নয়টায় কমিশনের প্রধান কার্যালয় প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা ও কমিশনের পতাকা উত্তোলন করবেন দুদক চেয়ারম্যান মঈনউদ্দীন আব্দুল্লাহ। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে একটি মতবিনিময় সভায় অংশ নেবেন দুদক চেয়ারম্যান, কমিশনারসহ সংস্থাটির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা আলোচনা-সমালোচনার মধ্য দিয়ে যেতে হয়েছে সংস্থাটিকে। আর স্বাধীন দুর্নীতি দমন কমিশনে প্রথম চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি সুলতান হোসেন খান। সেই সময়ে চার বছর মেয়াদি কমিশনের পূর্ণ মেয়াদ শেষ করার আগেই বিদায় নিতে হয় তাকে। ২০০৭ সালে তার স্থলাভিষিক্ত হন লে. জে. (অব) হাসান মশহুদ চৌধুরী। তবে সেনা সমর্থিত এই কমিশনারও চেয়ারম্যান হিসেবে পূর্ণ মেয়াদ দায়িত্ব পালন করতে পারেননি।
২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে তৃতীয়বারের মতো কমিশন পুনর্গঠন করা হয়। কমিশনের তৃতীয় চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান সাবেক সচিব গোলাম রহমান। তিনি প্রথম পূর্ণ মেয়াদে দুদক চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। একইসঙ্গে দুদক আইনের সংশোধনী এনে চেয়ারম্যান ও কমিশনারদের মেয়াদকাল চার বছর থেকে পাঁচ বছরে উন্নীত করেন।
২০১৩ সালে গোলাম রহমান অবসরে গেলে বদিউজ্জামানকে চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তিনি অবসরে গেলে ২০১৬ সালে অবসরপ্রাপ্ত সচিব ইকবাল মাহমুদ দুদকের পঞ্চম চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ পান।
ইকবাল মাহমুদ ২০২১ সালে অবসরে গেলে কমিশনের ষষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় কৃষি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মোহাম্মদ মঈনউদ্দীন আবদুল্লাহকে। তিনি ২০১৮ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসরে যান। দুদকে নিয়োগ পাওয়ার আগে ২০১৯ সাল থেকে রাষ্ট্রায়ত্ত উন্নয়ন সংস্থা পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।