Saturday , 18 May 2024
শিরোনাম

দেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় নিতে ভূমিকা রাখবে ছাত্রলীগ: তথ্যমন্ত্রী

‘অতীতের গৌরবোজ্জ্বল পথ বেয়ে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে ভূমিকা রাখবে ছাত্রলীগ’—এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে তিনি এ আশা প্রকাশ করেন।

তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে ৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। ছাত্রলীগের মিছিলের পেছনের সারির কর্মী হিসেবে আমার রাজনীতি শুরু হয়েছিল। সুতরাং আজকে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর এ দিনে সংগঠনটির সমস্ত নেতাকর্মীদের, সাবেক নেতাকর্মীদের সবাইকে আমি অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানাই।

‘বাংলাদেশের ইতিহাস আর ছাত্রলীগের ইতিহাস অঙ্গাঙ্গিভাবে জড়িত’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশে আমাদের বাঙালি জাতির স্বাধিকার আন্দোলন থেকে শুরু করে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনসহ সবক্ষেত্রে ছাত্রলীগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। সেই অতীতের গৌরবোজ্জ্বল পথ বেয়ে ভবিষ্যতে বাংলাদেশকে স্বপ্নের ঠিকানায় পৌঁছাতে ছাত্রলীগ ভূমিকা রাখবে—সেটিই আমার প্রত্যাশা।

এসময় বিএনপির আগামী কর্মসূচির ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন করলে আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বলেন, আমরা বিএনপির সমস্ত কর্মসূচির সময় সতর্ক দৃষ্টি রাখব। প্রয়োজনে সতর্ক পাহারায় থাকব এবং এই দেশে আর কখনো ২০১৩, ১৪, ১৫ সালের মতো পরিস্থিতি কাউকে তৈরি করতে দেব না।

তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে প্রণয় ভার্মার সাক্ষাৎ

এর আগে সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ভারতের হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। বৈঠক শেষে মন্ত্রী বলেন, ‘সিনেমা ইন্ডাস্ট্রি, টেলিভিশন ইন্ডাস্ট্রি, কানেকটিভিটি এগুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে। বিশেষ করে ভারতের ত্রিপুরা, দিল্লী ও অন্যান্য রাজ্যে আমাদের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো প্রচারে তেমন কোনো অসুবিধা না থাকলেও পশ্চিমবাংলায় দেখাতে পারে না। মূলত সেখানকার ক্যাবল অপারেটররা শুরুতেই কয়েক কোটি টাকা এবং বছরপ্রতি কোটি টাকা দাবি করে, যা আমাদের চ্যানেলগুলোর পক্ষে দেওয়া সম্ভব না। সে প্রেক্ষিতে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে কিছু করা যায় কি না, সে বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। পাশাপাশি বঙ্গবন্ধু বায়োপিক, দু’দেশের যোগাযোগ বিশেষ করে আগরতলা, আখাউড়া ট্রেন রুটের অগ্রগতি, আমাদের ইকোনোমিক জোনগুলোতে ভারতের বিনিয়োগসহ অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক বহুমাত্রিক এবং সেই সম্পর্ক রক্তের অক্ষরে লেখা। আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে ভারতীয় সৈন্য এবং নাগরিকরা আমাদের সঙ্গে জীবন দিয়েছে। সুতরাং দু’দেশের মানুষে মানুষে যোগাযোগ কিভাবে আরও বৃদ্ধি করা যায়, অনেক মানুষ চিকিৎসার জন্য বাংলাদেশ থেকে যায় কিন্তু ভিসা পেতে দেরি হয়, সেটিকে কিভাবে আরও সহজীকরণ করা যায় সে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছি। হাইকমিশনার এসব বিষয়ে আন্তরিকভাবে কাজ করবেন বলে জানিয়েছেন।

হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, বাংলাদেশের তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এটিই আমার প্রথম সাক্ষাৎ। অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশ ও ভারতের মানুষের আত্মত্যাগের মাধ্যমে দু’দেশের মধ্যে যে অনন্য বন্ধন রচিত হয়েছে, গত এক দশকে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি সেই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। তাদের নির্দেশিত বিভিন্ন বিষয় বাস্তবায়ন এবং মানুষে মানুষে সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর করার বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি।

Check Also

৩য় শ্রেণির দুই শিশুকে হাত, মুখ বেঁধে পাশ/বিক নির্যা/তন

লালমনিরহাটে দুই শিশুকে পি/টি/য়ে হাসপাতালে পাঠালেন বখাটে সাগর ভ্যান্ডার আমি আপনার পা/য়/খা/না খাব, আমি চুরি …

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

x