দেশে প্রত্যাবর্তন করেই সরকারি বাসভবন ও নিরাপত্তা ফিরে পেয়েছেন শ্রীলঙ্কার সাবেক প্রেসিডেন্ট গোতাবায়া রাজাপাকশে। প্রবল আন্দোলনের মুখে গত ১৩ জুলাই রাতের আঁধারে নিজের দেশ থেকে পালিয়ে মালদ্বীপ যান তিনি।
বার্তাসংস্থা রয়টার্স এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, আজ শনিবার (৩ সেপ্টেম্বর) দেশে ফেরার পর গোতাবায়াকে কঠোর নিরাপত্তা প্রদান করছে দেশটির আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
স্বাধীনতা লাভের পর প্রথমবার ভয়াবহ অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটে পড়েছে শ্রীলঙ্কা। এতে গণ বিক্ষোভের মুখে দেশ ছাড়েন গোতাবায়া। দেশের এমন সংকটের পেছনে তার প্রশাসনকে দায়ী করে আসছে সাধারণ লঙ্কানরা।
১৩ জুলাই মালদ্বীপে পালিয়ে যাওয়ার পর সেখান থেকে সিঙ্গাপুরে যান গোতাবায়া। পরে সিঙ্গাপুর থেকে প্রেসিডেন্টের পদ থেকে ইস্তফা দেন তিনি। পরবর্তীতে সেখান থেকে থাইল্যান্ড আশ্রয়ে নেন এই সাবেক লঙ্কান প্রেসিডেন্ট।
রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সরকারি বাসভবনে যাওয়ার আগে শনিবার ভোরে বিমানবন্দরে ক্ষমতাসীন দলের সদস্য এবং আইনপ্রণেতাদের একটি দলের সাথে সাক্ষাৎ করেন তিনি।
এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা বলেন, দেশে ফেরারে পর গোতাবায়া এখন কী পরিকল্পনা সে বিষয়ে কোনো ইঙ্গিত দেননি তিনি।
গতকাল শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) রাতে তিনি আমাদের জানিয়েছেন যে, তার কিছু সময় প্রয়োজন। এই মুহূর্তে নিরাপত্তার কারণে তিনি বাড়ি থেকে বের হওয়ারও অনুমতি পাচ্ছেন না। কিছু সময় গেলে হয়তো তার পরিকল্পনা সম্পর্কে জানা যাবে। উল্লেখ্য, দেড় মাসেরও বেশি সময় পর দেশে ফিরলেন গোতাবায়া। স্থানীয় সময় শুক্রবার রাত ১২টার পর সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে কলম্বোর অদূরে বন্দরনায়েক আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তিনি।
রাতে বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাকে দেশটির মন্ত্রী ও রাজনীতিবিদরা ফুল দিয়ে অভ্যর্থনা জানিয়েছেন। গত প্রায় সাত সপ্তাহ স্বল্পমেয়াদী ভিসা নিয়ে থাইল্যান্ডে অবস্থান করছিলেন গোতাবায়া। সেখান থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে দেশে ফেরেন তিনি।
দেশটির প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা আগেই জানিয়েছিলেন যে, গোতাবায়াকে সাবেক প্রেসিডেন্টের নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তার নিরাপত্তার জন্য সেনা ও পুলিশ সদস্যদের দিয়ে নতুন একটি নিরাপত্তা বলয় প্রস্তুত করা হয়েছে।