মো. আহসানুল ইসলাম আমিন:
আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে কৃষিতে। কালের পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে আধুনিক পদ্ধতিতে শ্যালো মেশিন দিয়ে ব্যাপক হারে ধান মাড়াইয়ের কাজ ও চলছে হরদমে। মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের কৃষকদের বাড়ির আঙিনায় এক সময় ধান মাড়ানোর জন্য ফজরের আযানের ওয়াক্ত থেকে দশ বারোটা গরুর সহযোগিতায় যেখানে ধান মাড়ানোর কাজ চলতো বেলা দুপুর পর্যন্ত।কাজের লোকদের চিল্লাচিল্লি আধো অন্ধকারে আলো জোগানোর অতিরিক্ত ঝামেলা। যে সকল বাড়িতে গরু লালন পালন করতো তাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে ধান মাড়ানোর জন্য গরু ধার চাওয়া সব মিলিয়ে তখন ছিলও অন্যের উপর কেমন একটা নির্ভর করে থাকা।কিন্ত আজকের ডিজিটাল যুগে সময়ের সাথে সাথে পাল্টে গেছে পৃথিবীর দৃশ্যপট।
আমন ইরি ধানের মৌসুম এলে এখন আর অতিরিক্ত চিন্তা করতে হয় না কৃষকদের। ক্ষেত খামারে কামলাদের যেখানে অভাব পূরণ করতে মাঠে ময়দানে নামতে হতো স্বয়ং কৃষক পরিবারের সদস্যদের। আধুনিকতায় সেখানটা এখন সংক্ষেপ হয়ে এসেছে।
আধুনিক পদ্ধতির শ্যালো মেশিন দিয়ে ধান মাড়ানোর সম্পর্কে জানতে চাইলে কৃষক জিন্নাত আলী জানান, আগে পাঁচ বিঘা জমিনের ধান মাড়ানোর জন্য আনুমানিক দশটি গরুর প্রয়োজন হতো।তাও মাঝ রাত থেকে।এবং এই পাঁচ বিঘা ধান মাড়ানোর জন্য সময় লাগতো সম্পূর্ণ একটা দিন।অথচ এই আধুনিক পদ্ধতিতে শ্যালো মেশিন দিয়ে মাত্র তিন ঘণ্টায় পাঁচ বিঘা জমিনের ধান মাড়ানো হয়ে যায় বলে জানান তিনি।
উপজেলা কৃষি অফিসার মো.আবু সাঈদ শুভ্র জানান, কৃষিভিত্তিক এই দেশের বেশীরভাগ লোকই গ্রামে বাস করে। আর তাদের অধিকাংশই কৃষক হিসেবে পরিচিত। এই কৃষকরাই জমিতে নানা ধরনের ধান, আলু সহ বিভিন্ন শস্য বপন করে আমাদের খাদ্যের সংস্থান করে থাকেন। অন্যান্য ফসলের মতই আমন বা ইরি ধানের চাষাবাদ করতে গেলে এখন আর শুধু হাত বা গরুর সাহায্য নেওয়া হয় না।বরং জমিতে এখন ট্রাক্টর ব্যবহারের পাশাপাশি কৃষি কাজে নানা ধরনের যন্ত্র বা মেশিন ব্যবহার করা হয়।এগুলো নানান নামে নানান জায়গায় পরিচিত,ধান মাড়ানোর জন্য যেমন-শ্যালো মেশিন ধান মাড়াইয়ের যন্ত্র ধান ছাড়াই যন্ত্র ধান কুবানো মেশিন ইত্যাদি।